এলো নতুন ভোর, নতুন বছর। ২০২০ খ্রিস্টাব্দ। এ বছর আন্তর্জাতিক অঙ্গনের কোন খবর গণমাধ্যমে ফলাওভাবে উঠে আসবে? এ নিয়ে অনুমান প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দি উইক।
মার্কিন নির্বাচন : এ বছরে বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ অনেক নির্বাচন রয়েছে। তবে একটি নির্বাচন সবার থেকে বেশি নজর কাড়বে পুরো পৃথিবীর। আর তা হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ৩ নভেম্বর ভোট হবে।
এই ভোটে কি ডেমোক্র্যাটরা আবার ক্ষমতা ফিরিয়ে নিতে সক্ষম হবে? নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর ভর করে আরও চার বছরের জন্য শাসনকাঠি ধরে রাখবে রিপাবলিকানরা? পলিটিকো বলছে, যে হারে ট্রাম্পের প্রতি জন-অনাস্থা তৈরি হচ্ছে, তাতে তার হারের লক্ষণই ফুটে উঠছে।
অলিম্পিক গেমস : টোকিওতে এ বছরের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া উৎসব হবে। ২৪ জুলাই থেকে শুরু হয়ে চলবে ৯ আগস্ট পর্যন্ত। ২০০টির বেশি দেশ এতে অংশ নিচ্ছে। ৩৩ ধরনের খেলায় লড়বেন ১১ হাজারের মতো অ্যাথলেট। এরপর আবার ২৫ আগস্ট থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে প্যারা-অলিম্পিক গেমস।
ব্রেক্সিট : ৩১ জানুয়ারি ২০২০- বিচ্ছেদের চূড়ান্ত দিন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ বা ব্রেক্সিট। কিন্তু এর আগে গত বছর মার্চে এবং অক্টোবরে দুই দফায় ধার্য করা চূড়ান্ত দিন পেরিয়ে যাওয়ায় ব্রিটিশরা এবারও বিচ্ছেদের ব্যাপারে সুনিশ্চিত নয়। তবে ডিসেম্বরে বরিস জনসনের বিশাল জয় বলে দিচ্ছে, বিচ্ছেদ বাস্তবায়নের সম্ভাবনা আগের দুবারের চেয়ে এবার বেশি।
২০১৬ সালের গণভোটে ৫১.৯ শতাংশ ব্রিটিশ ইইউ থেকে বিচ্ছেদ নেওয়ার রায় দেয়। এর পরই ব্রেক্সিটবিরোধী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করেন। পরে দায়িত্ব নেন তেরেসা মে। তিন বছর ধরে তিনি চেষ্টা করেছেন; কিন্তু সংসদ সদস্যদের বাধায় ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে বারবার ব্যর্থ হয়ে মেও পদত্যাগে বাধ্য হন। এর পর কনজারভেটির পার্টির প্রধান এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন বরিস জনসন।
প্রযুক্তি বিশ্ব : এ বছর হবে পঞ্চম প্রজন্মের (ফাইভ জি) মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগের বছর। ডাটা আরও সহজলভ্য হবে। কাভারেজের মানও উন্নত হবে। অন্তত ফোর্বস সাময়িকীর বিশ্বাস এমনটাই।
বিশ্ব অর্থনীতি : মানিউইক মনে করছে, বেতন-ভাতা নিয়ে বিক্ষোভ এবং তেলের দাম বৃদ্ধি উত্তপ্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যযুদ্ধ প্রধান জায়গা করে নেবে গণমাধ্যমগুলোয়।
ভূ-রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ; হংকং, চিলি, লেবানন ও ইরাকে আঞ্চলিক রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়বে।