সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন

আমাদের মুক্তিসংগ্রাম ও রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৯ মার্চ, ২০২২
  • ১৩৩ বার

গতকাল ছিল ৭ মার্চ বাঙালি জাতির এক শ্রেষ্ঠ দিন। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবস এসবের কোনোটার চাইতে ৭ মার্চ কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনা খুব বেশি ঘটে না। ৭ মার্চ নিয়ে ইদানীং অনেকেই অনেক কিছু বলার চেষ্টা করেন। ৭ মার্চ নিয়ে কোনোরকম নেতিবাচক ভাবনা কারও থাকা উচিত নয়। ৭ মার্চ না এলে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস আসত না। একের সঙ্গে অন্যের যথেষ্ট যোগসূত্র আছে। ইনিয়ে বিনিয়ে কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেন ৭ মার্চেই বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা করা উচিত ছিল। নিরাপদে থেকে অনেক কথাই বলা যায়। সে সময় বঙ্গবন্ধুর যা করার বা বলার ছিল তা তিনি করেছেন, বলেছেন। আমরা তাঁর অনুসারীরা যতটা যা করার করেছি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণা করার কোনো সুযোগ ছিল না। কৌশলে যা করার বা বলার তার বিন্দুবিসর্গও কম করেননি। মূলত স্বাধীনতার ঘোষণা ৭ মার্চই হয়েছিল। যেভাবে শত্রুবেষ্টিত একটা ভূখন্ডে একজন জাতীয় নেতা তাঁর দেশের মুক্তির জন্য যা বলতে বা করতে পারেন তা তিনি করেছেন। কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেন বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। আমাদের নেতা আত্মসমর্পণ করার মানুষ ছিলেন না। ওই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানিদের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়াবার বুকের পাটা লাগে যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া আর কারও ছিল না। পাকিস্তানিদের হাতে ধরা পড়ে বা ধরা দিয়ে তিনি যথার্থই করেছেন। তিনি তাঁর জীবন নিয়ে কখনো খুব একটা ভাবতেন না। আগরতলা মামলা থেকে মুক্তির পর তিনি শুধু জাতির কথাই ভেবেছেন, জাতির স্বাধীনতার কথাই ভেবেছেন। বঙ্গবন্ধু বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলে সেটা যেখানেই যান না কেন তাঁকে ধরার জন্য তাঁকে খুঁজতে খুঁজতে দেশের অলিগলি রাজপথ চষে বেড়াত, ঘরে ঘরে অভিযান চালাত। তাতে হাজার হাজার লাখ লাখ মানুষ নিহত হতো। বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, কামারুজ্জামান এমনকি খন্দকার মোশতাক ভারতে আশ্রয় নিয়ে মুজিবনগর সরকার গঠন করায় মুক্তিযুদ্ধে আমাদের শক্তি বৃদ্ধি হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ভারতে গিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করলে আমরা হাজার বছরেও স্বাধীন হতে পারতাম না। বরং পাকাপাকি ভারতের দালাল হতাম। দেশ কেন সারা বিশ্বের মানুষ আমাদের ভারতের দালাল বলে মনে করত, মেনে নিত। তাই যখন যা যেভাবে প্রয়োজন সেটা সেভাবেই করেছিলেন। একটা মানুষকে হত্যা করলেই তাঁর কর্ম ধ্বংস করে ফেলা যায় না। মানুষ বেঁচে থাকে তাঁর সুকর্মের মাধ্যমে, তাই বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন তাঁর ভক্তদের হৃদয়জুড়ে, আকাশে বাতাসে তারায় তারায়। বাংলার খেত-খামারে, কৃষকের লাঙলের ফলায় ফলায়, জেলের জালে, মাঝির হাওয়ায় ভাসা পালে। একসময় শেরেবাংলা বঙ্গবন্ধুর চাইতে অনেক বড় নেতা ছিলেন। অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেরেবাংলা যখন গোপালগঞ্জে এসেছিলেন তখন বঙ্গবন্ধু প্রায় শিশু। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, আবুল হাশিম, শামসুল হক এঁরা একসময় সবাই বঙ্গবন্ধুর নেতা ছিলেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর চাইতে জনপ্রিয় আস্থাভাজন নেতা আর একজনও ছিলেন না। বঙ্গবন্ধুর জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন দেশের মানুষের ভালোবাসা। আগরতলা মামলার আগে তো বঙ্গবন্ধু অবিতর্কিত দলীয় নেতাও ছিলেন না। আগরতলা মামলার পর তিনি আওয়ামী লীগের একজন প্রশ্নহীন সাহসী দলীয় নেতায় পরিণত হয়েছিলেন।

আমি কিছু বললে সব সময়ই হাইব্রিড সুবিধাবাদী নেতাদের কলিজা জ্বলে, লাগামহীন উল্টাপাল্টা বলে। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যার দিনে আওয়ামী লীগ যে দোয়া মাহফিল এবং খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করে তার নাম ছিল ‘কাঙালি ভোজ’। শব্দটা আমার কোনো দিনই পছন্দ ছিল না। খাবারটা যা-ই হোক যত সাধারণ পর্যায়েরই হোক সুন্দর করে পরিবেশন করতে পারলে যে কোনো মানুষ তৃপ্তিসহকারে খেতে পারে। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর কবরের পাশে সবাইকে নিয়ে আমি যখন খেতাম তখন কত উকিল-মোক্তার-ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-শিক্ষক তৃপ্তিসহকারে খেতেন। তাই খাবারের নাম দিয়েছিলাম ‘গণভোজ’। কেউ কেউ প্রশংসা করলেও কিছু কট্টর খুবই গালমন্দ করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তির উদ্দেশ্যে খাবার আয়োজনটিকে গণভোজ হিসেবেই এখন গ্রহণ করা হয়েছে। কত যত্ন করে কত কষ্ট করে কত আন্তরিকতা নিয়ে লোকজনকে খাওয়ানো হয়, তার নাম কাঙালি ভোজ, শুনতেই কেমন যেন ফকির ফকির অসহায় মিসকিনের মতো শোনা যায়। যে কোনো জিনিসই উপস্থাপনার ওপর ভালোমন্দ নির্ভর করে। কোনো নিম্নমানের জিনিসকেও ভালোভাবে তুলে ধরতে পারলে তা অমূল্য হয়। তাই যে কোনো কাজই ভেবেচিন্তে সুন্দরভাবে করতে পারলে তার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পার করেও আমরা পাকিস্তান হানাদারদের ‘পাক বাহিনী’ বলা থেকে নিবৃত্ত হতে পারিনি। যারা মা-বোনের ইজ্জত হরণ করেছে, মানুষ হত্যা করেছে, দেশটাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করেছে তারা যদি পাকপবিত্র হয় তাহলে নাপাক কে? কত বিদ্বান-বুদ্ধিমান-জ্ঞানী-গুণী এখনো ‘পাক বাহিনী’ বলতে কোনো দ্বিধা করেন না, অবলীলায় লেখায়-পড়ায় ‘পাক বাহিনী’ বলেন। কী দিয়ে তাঁদের বোঝাব, হানাদার যদি পাক হয় তাহলে নাপাক কারা? ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম ভাষণের একটি দিয়েছিলেন জাতির পিতা দেশের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ওই ভাষণ ছিল সময়ের দাবি, বাঙালি জাতির শাশ্বত চেতনা। ওটা ছিল আত্মার তাগিদ, হৃদয় উজাড় করা ভালোবাসা, মুক্তির বাণী। দু-চার জন বলার চেষ্টা করেন ভাষণটি তারা বলে কয়ে লিখিত সাজিয়ে গুছিয়ে দিয়েছিলেন। হ্যাঁ, ভালো ভালো গায়ক-গায়িকারা তাঁদের সামনে লিখিত গানের কলি নিয়ে রেকর্ড করেন, সেটা এক বিষয় আর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ অন্য বিষয়। এক টুকরো কাগজের দিকেও তিনি তাকাননি। তাঁর অন্তরাত্মা, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তাঁকে যে নির্দেশ দিয়েছে সেটাই উজাড় করে তুলে ধরেছিলেন ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। যা তাঁর কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছিল তার কোনো কিছুই তাঁর ছিল না, সবই ছিল দেশবাসীর অন্তরের কথা, দেশবাসীর হৃদয় নিঃশ্বাসিত মর্মবাণী। ও রকম উত্তপ্ত অবস্থায় তেমন কিছু শিখিয়ে পড়িয়ে হয় না। বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রেও হয়নি। দীর্ঘ নয় মাস পাকিস্তানের কারাগারে কাটিয়ে লন্ডন থেকে দিল্লি এসে তেমন কিছু না জেনেও দিল্লির রামলীলা ময়দানে ভাষণ দেওয়ার সময় তাঁকে বলা হয়েছিল, ‘ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে আপনার এত মিল কেন?’ তিনি বলেছিলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে আমার মিল গণতন্ত্রের, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ ও রাজনীতির’। তাই যত্রতত্র পানের দোকানে কিংবা মন্ত্রণালয়ে এটাওটা প্রচারের সময় ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে মাঝেমধ্যেই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ যখন বাজানো হয় তখন মনে হয় বঙ্গবন্ধুর ভাষণের যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ মিশাইলের চাইতে শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে কাজ করেছে। যুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনলে আমাদের বুকে মুক্তির উন্মাদনা জাগত ও দেহে সিংহের তেজ অনুভব করতাম। কিন্তু সে ভাষণই যত্রতত্র যখন তখন যেখানে সেখানে বাজিয়ে তার অন্তর্নিহিত মর্মবাণী দুর্বল করে দেওয়া হচ্ছে। আজ কদিন থেকে মোবাইলে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনতে পাচ্ছি। এতে অনেকে খুশি হতে পারেন। কিন্তু এটা কতটা খুশির কতটা যুক্তিযুক্ত চিন্তাশীলদের ভেবে দেখা দরকার। অনেকের মোবাইলে আজান-দোয়া-দরুদ অনেক ধরনের রিংটোন থাকে। এখানেও আমার আপত্তি আছে। আজান কোনো ছেলেখেলা নয়, ফোনে আজান বেজে উঠলে কেউ রিসিভ করলেন সঙ্গে সঙ্গে আজানের সমাপ্তি এটা আল্লাহকে আহ্বানের সঠিক পথ হতে পারে না। কোনো সুরা রিংটোনে দেওয়া আছে। মোবাইল বাজতেই গ্রাহক ধরলেন ওখানেই সুরার সমাপ্তি। আমার জ্ঞানবুদ্ধিতে এতে লাভের চাইতে ক্ষতিই বেশি। মোবাইলের রিংটোন হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মাঝেমধ্যে বাজানোয় ভালোর চাইতে অপাত্রে দানের মতো হতে পারে। একসময় ব্যাপারটা খেলো না হয়ে যায়। যে যা-ই বলুন, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর স্থান অনেক ওপরে, অন্তরাত্মার অনেক গভীরে। তাই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যা তা করলে ভীষণ খারাপ লাগে।

প্রায় দুই সপ্তাহ হলো রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছে। ভেবে দেখা দরকার রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছে নাকি আক্রমণ করতে বাধ্য হয়েছে। রাশিয়ার প্রতি আমাদের কতটা কি দায়বদ্ধতা আছে বলতে পারব না, বলতে চাইও না। কিন্তু সোভিয়েতের প্রতি আমাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই এমন বললে আমরা অকৃতজ্ঞ হব। কারণ ভারত এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের ধাত্রী বলা চলে। যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে আমেরিকা যখন সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল তখন সোভিয়েত ইউনিয়ন তার নৌবহর বঙ্গোপসাগরে না পাঠালে কী যে হতো বলা যায় না। ১০ ডিসেম্বর কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্ত এলাকায় ভারতীয় ছত্রীসেনা অবতরণ করে তখন অনেকে বলছিল, এই বুঝি চীনের সৈন্য এসে গেল। আজকে চীনও আমাদের বন্ধু, আমেরিকাও আমাদের নিকটাত্মীয়। এসবের পরও জন্মের ইতিহাস ভুলে যাওয়া যায় না, জন্মকালীন বন্ধু থেকে মুখ ফেরানো যায় না। চলতে গেলে নতুন বন্ধু হবে, বন্ধু কখনোসখনো শত্রু হবে একে অস্বীকার করার কোনো পথ নেই। কিন্তু মনুষ্যত্ব বিসর্জন দেওয়া যায় না। পৃথিবীর সব দেশ বড় কোনো শত্রু থেকে নিরাপদ থাকার জন্য বাফার স্টেট খোঁজে। ইউক্রেন ন্যাটোভুক্ত হলে রাশিয়ার ঘাড়ে আমেরিকার বসার মতো কথা। তা তারা কেন হতে দেবে? জানপ্রাণ দিয়ে সেটা ফেরাবে এটাই সত্য। ইউক্রেন আর রাশিয়ার বর্তমান যুদ্ধে তেমনটাই হয়েছে। সেজন্য শুধু রাশিয়াকেই গালি দিয়ে ইউক্রেনের ভলোদিমির জেলেনস্কির গলায় মালা পরানো যায় কি না চিন্তা করতে হবে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব- এই হবে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র। বাংলাদেশ এ পর্যন্ত কাউকে সমর্থন না করে ভালোই করেছে। কিন্তু আমাদের মতো অস্ত্রবলে দুর্বল দেশের নিরপেক্ষ থাকা খুবই মুশকিল। কখন কী হয় কিছুই বলা যায় না। আমাদের সফল কূটনীতিই হচ্ছে একমাত্র সম্বল। আমাদের ভালো কূটনীতিকও তো দেখতে পাচ্ছি না। তাই সব সময় বড় দুশ্চিন্তায় কাটে। এদিকে দেশের অবস্থাও ভালো না। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। তাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে আন্ডাবাচ্চা সব নিয়ে রাস্তায় নামলে কার কী করার থাকবে? মানুষের জোয়ার তুফানের চাইতে মারাত্মক, প্লাবনের চাইতেও শক্তিশালী। কিন্তু সরকারের তেমন কার্যকর পদক্ষেপ দেখছি না। শুধু বিএনপি বলে, জামায়াত বলে সব সময় কি মানুষকে থামিয়ে রাখা যাবে? সত্যিকার অর্থেই সাধারণ মানুষের জীবন বড় বেশি সংকটে। সংসদে এবং মন্ত্রিসভায় যখন ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য তখন এমন হওয়া ছাড়া আর বিকল্প কী? বাণিজ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ী, অর্থমন্ত্রী ব্যবসায়ী, দু-চার জন ছাড়া প্রায় সব মন্ত্রী ব্যবসায়ী। তাহলে সাধারণ মানুষের রক্ষাকবচ কোথায়? তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গ্রাম গ্রামান্তরে ন্যায্যমূল্যের দোকান খুলে এই দুঃসময়ে সাধারণ মানুষের বাঁচার ব্যবস্থা করা আশু প্রয়োজন। আশা করি সরকার সাধারণ মানুষের দুঃখকষ্টের কথা দরদ দিয়ে ভালোবাসা দিয়ে প্রতিকারের চেষ্টা করবে।

 

লেখক : রাজনীতিক।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com