শরীর থেকে হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আঙুলে জ্বলজ্বল করছে লাল রংয়ের বড় আংটি। ওই আংটি দেখেই ইরানের কুদস বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল কাশেম সোলাইমানির ছিন্নভিন্ন লাশটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়। গত শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয় সোলাইমানির। ওই সময় সোলাইমানির সঙ্গেই ছিলেন ইরানপন্থী ইরাকি আধা সামরিক বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহান্দিসও। তিনিও মারা যান। আমেরিকার এক শীর্ষস্তরের রাজনীতিক জানান, দুটি লাশই সম্পূর্ণ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তাই আঙুলের লাল আংটি দেখে সোলাইমানির লাশটি শনাক্ত করা হয়।
হামলার খবর পেয়েই বাগদাদ বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইরাকি সাংবাদিকরা। তারপরই ঘটনাস্থলের একাধিক ছবি-ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে যায়। সেখানে একাধিক ভিডিওতে ওই আংটির ছবি জুম করে দেখানো হয়। ইরাকের এক শীর্ষ সেনাকর্তা জানান, লেবানন অথবা সিরিয়া থেকে এসে বাগদাদ বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিলেন সোলাইমানি। ড্রোন হামলায় রেভলিউশনারি গার্ডের ৫ সেনা এবং সোলাইমানির জামাইসহ মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়।
এদিকে, শনিবার কয়েক হাজার মানুষ সোলেমানির জানাযায় অংশ নিয়েছিলেন। বেশিরভাগেরই পরনে ছিল কালো পোশাক। হাতে ধরা ছিল ইরাকের জাতীয় পতাকা। কেউ কেউ সোলাইমানির ছবি হাতেও জানাযায় যোগ দিয়েছিলেন। এদিন জানাযা সম্পন্ন হয় ইরাকি আধা সেনা হাশেদ আল-শাবির ডেপুটি কমান্ডার আল-মুহান্দিসেরও। হাশেদের তরফেই এদিনের এই জানাযায় আয়োজন করা হয়েছিল। বাগদাদের গ্রিন জোন থেকে শুরু হয়ে ওই মিছিল শিয়াদের পবিত্র শহর কারবালা এবং নাজাফে যায়।
জানা গেছে, আজ, রোববার সোলাইমানির লাশ ইরানে নিয়ে আসা হবে। সেখানে দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেইনি আরেকবার তার নামাজে জানাযা পড়বেন। তারপর সোলেমানির জন্মভূমি কারমান টাউনে তাকে দাফন করা হবে।
সূত্র : সংবাদ সংস্থা