অধিকাংশ অর্থনৈতিক সূচকে পিছিয়ে পড়লেও অর্থপাচারে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গেøাবাল ফিন্যানশিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) এক প্রতিবেদনে বলেছিল, বিদেশে টাকা পাচারে দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে এখন বাংলাদেশ। এক নম্বরে আছে ভারত। সংস্থাটি জানায়, কেবল ২০১৫ সালেই বাংলাদেশ থেকে এক হাজার ১৫১ কোটি ডলার বা ৯৮ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে এবং গত ১৬ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে অন্তত ১১ লাখ কোটি টাকা।
জিএফআই-এর দেয়া তথ্যানুযায়ী, ২০০৫ সালে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ৪২৬ কোটি মার্কিন ডলার। একই ধারায় ২০০৬ সালে ৩৩৭ কোটি, ২০০৭ সালে ৪০৯ কোটি, ২০০৮ সালে ৬৪৪ কোটি, ২০০৯ সালে ৫১০ কোটি, ২০১০ সালে ৫৪০ কোটি, ২০১১ সালে ৫৯২ কোটি, ২০১২ সালে ৭২২ কোটি, ২০১৩ সালে ৯৬৬ কোটি, ২০১৪ সালে ৯১১ কোটি টাকা পাচার হয়। আগের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সংস্থাটি জানিয়েছিল, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বছরে গড়ে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যায়। সে হিসাবে ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে পাচার হয়েছে চার লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা।
মূলত উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের মোট বাণিজ্যিক লেনদেনের প্রায় ২০ দশমিক ৫ শতাংশই কোনো না কোনোভাবেই পাচার হয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে অর্থপাচারের চারটি প্রধান উপায় চিহ্নিত করেছে জিএফআই। এগুলো হচ্ছে- ১. আমদানি বাণিজ্যে ব্যাপক ওভার-ইনভয়েসিং ২. রফতানি বাণিজ্যে আন্ডার-ইনভয়েসিং ৩. রফতানি আয় দেশে ফেরত না এনে বিদেশে রেখে পাচার এবং ৪. হুন্ডি প্রক্রিয়ায় ব্যাংকঋণ বিদেশে পাচার।
জিএফআই-এর ওই তথ্য আস্থায় নিতে রাজি নন সরকার। অবশ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থপাচারের প্রকৃত চিত্র আরো ভয়াবহ। বর্তমানে এমন অনেক খাতেই অর্থ পাচার হচ্ছে, যা জিএফআই আমলে নেয়নি। অথচ এই পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা এবং পাচার বন্ধ করার বিষয়ে দায়িত্বশীলদের মুখ থেকে মাঝে মধ্যে জোরালো বক্তব্য শোনা গেলেও তা বাস্তবায়ন হতে দেখা যায় না।
বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রতিবেদন বলছে, প্রধানত ১০টি দেশ এই অর্থপাচারের বড় গন্তব্যস্থল। দেশগুলো হলো সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, হংকং ও থাইল্যান্ড। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিগত ১৬ বছরে বিদেশে যে পরিমাণ অর্থপাচারের কথা বলা হচ্ছে, তা সর্বশেষ দুই অর্থবছরের মোট বাজেটের সমপরিমাণ। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি এবং আগের অর্থবছরে বাজেট ছিল পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া পাচারের এই অর্থ দেশের বর্তমান জিডিপির ৩১ শতাংশ। বর্তমানে দেশে জিডিপির আকার ৪০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এক ডলারের বিপরীতে ৮৫ টাকা হারে। এই বিপুল অর্থপাচার না হলে দেশে বর্তমানে জিডিপির আকার ছাড়িয়ে যেত প্রায় পাঁচশ’ বিলিয়ন ডলারে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে, বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারে যে তথ্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো প্রকাশ করছে, সেটা আংশিক। বাস্তবে পরিমাণ আরো অনেক বেশি। অনেক বিদেশী বাংলাদেশে কাজ করেন। তারা আয়ের বড় একটা অংশ অবৈধভাবে বিদেশে পাঠান। এটাও অর্থপাচার।
সংশ্লিষ্টদের মতে, আইনি জটিলতা, তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা, আদালতে আসামিপক্ষের সময়ক্ষেপণ, সমন্বয়ের অভাব এবং উচ্চ আদালতে স্থগিতাদেশ থাকাসহ নানা জটিলতার কারণে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা যাচ্ছে না। অর্থপাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার আছে দুদকের। অর্থপাচার, স্থানান্তর ও রূপান্তরকে ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ গণ্য করে ২০১২ সালে প্রথমে ‘মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন’ প্রণীত হয়। এরপর ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর সরকার এটি সংশোধন করে গেজেট প্রকাশের পর থেকে দুদকসহ মোট পাঁচটি সংস্থা মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায়। সংশোধিত আইনে দায়িত্ব পাওয়া অন্য চারটি সংস্থা হলো অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। প্রশাসন ও সরকারি কোনো সংস্থাকে মামলার বিষয়ে সহায়তা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’। এর পর থেকে পাঁচটি তদন্ত সংস্থা অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের ও তদন্ত করে এলেও অর্থপাচারের ৯৫ শতাংশ মামলাই নিষ্পত্তি হয় না।
এদিকে, এক কোটি ২০ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশীর দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণে হুন্ডি পদ্ধতির ব্যাপক ব্যবহার সা¤প্রতিককালে হুন্ডি প্রক্রিয়ায় ব্যাংকঋণের টাকা পাচার নাটকীয় হারে বেড়েছে। দেশের বৃহৎ শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীরা ব্যাংকঋণকে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেলায় খেলাপি ঋণের বেশির ভাগই বিদেশে পাচার হয়ে গেছে, তাই এসব খেলাপি ঋণ কখনো ব্যাংকগুলোতে আর ফেরত আনা যাবে না।
তবে মনে রাখতে হবে, ঋণখেলাপিদের অধিকাংশই ‘ইচ্ছাকৃত খেলাপি’। ফলে তাদের ঋণের টাকা ফেরত আনা সম্ভব নয়। এ ধরনের ঋণগ্রহীতারা ব্যাংকঋণের উল্লেখযোগ্য অর্থ বিদেশে পাচার করে দিয়েছেন-দিচ্ছেন, বিদেশে তারা এরই মধ্যে ঘরবাড়ি-ব্যবসাপাতি কিনে অভিবাসন নিয়ে ফেলেছেন। তাদের স্ত্রী-পুত্র-কন্যারা বিদেশে বসবাস করছেন, তারা নিজেরাও বিদেশে যাওয়া-দেশে আসা চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বা চাকরি বজায় রেখে অর্থ পাচার করে যাচ্ছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দুদক যদি সত্যিকারভাবে অর্থপাচার মোকাবিলা করতে চায়, তাহলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশের দূতাবাস বা হাইকমিশনকে চিঠি দিয়ে পাচারকারীদের তথ্য সংগ্রহের এবং আইনি প্রক্রিয়ার যে প্রয়াস চালাচ্ছে, তা বদলাতে হবে। কারণ বাংলাদেশের অর্থপাচারকারী শত শত দুর্নীতিবাজ সিভিল আমলা, প্রকৌশলী, সামরিক অফিসার, ব্যাংকার, রাজনীতিবিদ এবং গার্মেন্টস মালিক ব্যবসায়ী-শিল্পপতি প্রধানত যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইউরোপের অন্যান্য দেশ, মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতে অর্থ পাচার করে সেসব দেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব, গ্রিন কার্ড, পারমানেন্ট রেসিডেন্টশিপ বাগিয়ে ফেলেছে। ফলে বিদেশী আইনে তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব নয়।
জাতীয় স্বার্থে বিদেশে অর্থপাচারকারী এই সাহেবদের দেশের আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সদিচ্ছা বা সামর্থ্য সরকারের আছে কি না অথবা পাচারকৃত অর্থ দেশে আদৌ ফেরত আনা যাবে কি না, সেটা প্রশ্নবিদ্ধ হলেও যথাযথ অগ্রাধিকারসহকারে এদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে সরকারিভাবে প্রকাশ করলে বিশেষজ্ঞদের মতে নিচের পদক্ষেপগুলো গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে :
১. যেসব চাকরিরত সিভিল আমলা, প্রকৌশলী, সামরিক অফিসার এবং অন্যান্য ধরনের সরকারি কর্মকর্তার নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে, অবিলম্বে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দায়ের করা যাবে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের চাকরিচ্যুতি, জেল-জরিমানা এবং সম্পত্তি ক্রোকের মতো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা যাবে।
২. যেসব ব্যাংকঋণ গ্রহীতার নাম তালিকায় থাকবে, তাদের অবিলম্বে সব ব্যাংকের কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ব্যাংকঋণ থেকে স্থায়ীভাবে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। তারা ঋণখেলাপি হলে তাদের ঋণ পুনঃ তফসিলীকরণের সুযোগ রদ করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালত কিংবা উচ্চতর আদালতে ঋণখেলাপের মামলা চলমান থাকলে একটি ‘ঋণখেলাপি বিচার ট্রাইব্যুনাল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ওই মামলার দ্রæত নিষ্পত্তির মাধ্যমে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিবিধান করতে হবে।
৩. ‘রাইট-অফ’ করা খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের নাম ঋণ পাচারকারীর তালিকায় থাকলে উক্ত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে অবিলম্বে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
৪. ব্যাংক মালিকের বা ব্যাংকের পরিচালকের নাম তালিকায় থাকলে তাদের ওই মালিকানা বা পরিচালনা বোর্ড থেকে অবিলম্বে অপসারণ করে ট্রাইব্যুনালের বিচারে সোপর্দ করা যাবে।
৫. যেসব রাজনীতিবিদের নাম অর্থপাচারকারীর তালিকায় থাকবে, তাদের মন্ত্রিসভা এবং দলীয় নেতৃত্ব থেকে অপসারণ করা যাবে। সংসদ সদস্যদের নাম তালিকায় থাকলে, তাদের সদস্যপদ স্থগিত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হবে। তালিকায় নাম থাকলে অবসরে যাওয়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা দায়ের করতে সহজ হবে।
স¤প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের হালনাগাদ প্রতিবেদনের সংক্রান্ত তথ্যে জানা যায়, দেশে রেমিট্যান্সের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। যা গুরুত্বের সঙ্গে বিশ্লেষণের মতো। চলতি বছরের মার্চে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন শুধু যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীরা। পরিমাণে তা ৩০ কোটি ৮৮ লাখ (৩০৮.৮২ মিলিয়ন) ডলার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে একক মাসে আগে কখনো এ পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। অন্য সময় হলে বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেকেন্ড পজিশনের তেমন নিউজভ্যালু থাকত না। তথ্যমূল্যের দিক থেকে তা হতো একটি সাদামাটা সংবাদ। কিন্তু সময়-পরিস্থিতিও বিবেচ্য বিষয়। বাংলাদেশ প্রশ্নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নানা কারণে যারপরনাই প্রাসঙ্গিক। যে কারণে রেমিট্যান্সের ঘটনাটির মধ্যে অনেক উপাদান পাচ্ছেন এ বিষয়ক অভিজ্ঞরা।
পাচার করা অবৈধ টাকা এবার বৈধ পথে ফিরে আসতে শুরু করেছে কি না? এমন রসাত্মক প্রশ্নের মাঝে আমলে নেওয়ার উপাদানও কম নয়। কারণ বিশ্বের নানা প্রান্তে সেকেন্ড বা থার্ড হোম বিজনেসে কিছুটা ছেদ পড়েছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে। এতে যুক্তরাষ্ট্রে টাকা রাখায় ঝুঁকি ভর করেছে। বাধ্য হয়ে কারো কারো দেশের চোরাই টাকার কিছু কিছু দেশে পাঠানো ছাড়া গতি নেই।
অবশ্য কানাডা, মালয়েশিয়া, তুরস্কসহ কয়েকটি দেশের দিকে গতিপথ বদলানোর সুযোগ রয়েছে।
পশ্চিমা দেশগুলোতে গরিব-উন্নয়নশীল দেশের সম্পদ আয়ত্তে নেয়ার একটি সংস্কৃতি রয়েছে। কানাডায় বেগমপাড়া, লন্ডনে বাঙালিপাড়া, আমেরিকায় মিয়াপাড়া তৈরি এমনি এমনি হয়নি। এসবের পেছনে কাজ করেছে কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র-মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোর তৃতীয় বিশ্ব থেকে অর্থপাচারে উৎসাহ। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় বিশ্বের কিছু দেশের নাগরিকদের বেপরোয়াপনা নিয়ে মাঝে মধ্যে শিরোনাম হচ্ছে। এসব খবরের সারসংক্ষেপ হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সরকারের ফাইন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্ট অনেক দিন ধরেই নিজ নিজ সরকারকে এ ব্যাপারে সতর্ক করেছে। কারণ স্থানীয় নিম্নবিত্ত বা দরিদ্ররাও বিদেশীদের দেখাদেখি নষ্ট হচ্ছে, জড়িয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন অপরাধে। এর লাগাম টানতে কানাডা টেস্ট কেসের মতো দেশটিতে দু’বছরের জন্য বিদেশীদের বাড়ি কেনা নিষিদ্ধ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র নিষিদ্ধ না করলেও কিছুটা কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
দেশে ভাইরাসের মতো আক্রান্ত হওয়া অর্থপাচারের এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জন্য এসডিজির বাস্তবায়ন অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে। কাজেই টাকা পাচার রোধে সরকার সর্বাত্মক আন্তরিক পদক্ষেপ নেবে, এটাই প্রত্যাশা।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট