বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সংসদের এক বছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী যে ভাষণ দিয়েছেন তাতে জাতি হতাশ ও ক্ষুব্ধ। বর্তমান সংসদের এক বছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি এ মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেই ভাষণ দিয়েছেন তাতে জাতি হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে অর্থনীতি হচ্ছে প্রধান সংকট। এটা হচ্ছে পুরোপুরি ভাবে রাজনৈতিক সংকট। এ সরকার একটি অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। এমন একটি নির্বাচন হয়েছে যেটা ৩০ তারিখে হয়নি ২৯ ডিসেম্বর রাতেই ভোট ডাকাতি হয়েছে। সেই হিসেবে জাতির একটি প্রত্যাশা ছিল সঙ্কট নিরসনের একটি পথ তার বক্তব্যের মধ্যে থাকবে। এ নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নির্বাচনের কথা বা এমন কেন ইঙ্গিত দিবেন অথবা কোনো একটা সংলাপের কথা বলবেন কিন্তু কেনটাই তিনি করেননি। এই সঙ্কট নিরসনের জন্য তিনি কোনো পথ দেখাননি।
তিনি বলেন, অন্য দিকে যেই বক্তব্যগুলো রেখেছেন যা সত্য নয়, যেমন তিনি বলেছেন, ‘৭৫-এর পরে বছরগুলোতে মানুষ জরাজীর্ণ ছিল, মানুষের কঙ্কাল দেহ ছিল’ একথাগুলো চরম উল্টো। তার আগে ৭২-৭৫ সাল এদেশে একটি চরম দুর্ভিক্ষ হয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আমলে, তাদের দুঃশাসনের কারণে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন,৭৫-এর পরে জিয়াউর রহমানের যোগ্য নেতৃত্বে এদেশে পরিবর্তন ঘটে। আজকে বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক ভিত্তি রয়েছে, এটার রচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানই বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন। মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেন তিনি। এরর মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। আর অর্থনীতির যে ভিত্তি গড়ে তোলেন তাতে বিকশিত হয় মুক্তবাজার অর্থনীতি। বিদেশের কাছে উন্মুক্ত হাওয়ায় রফতানি বাড়ে। সবচেয়ে বেশি আয় হওয়া গার্মেন্টস সেক্টর ও রেমিট্যান্সের সূচনা করেন জিয়াউর রহমানই।
ফখরুল বলেন,আরেকটি বিষয় হচ্ছে, ভাষণে দোষারোপ করা হয়েছে শুধু বিএনপিকে। অথচ ভুলে গেছেন যে ওনারা ১৭৩ দিন হরতাল করেছেন। কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে এবং সেই সময় বাসে ১১ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। আরো অনেক লোক নিহত হয়েছিল এই সময়।
তিনি বলেন, এসব বিষয় তার বক্তব্যের মধ্যে আসেনি। বক্তব্যের মধ্যে আশা রাখতে বলেছেন ভরসা রাখতে বলেছেন। সেই ভরসা মানুষ কোথা থেকে পাবে? অর্থনীতির যে বর্ণনা তিনি দিয়েছেন, বাস্তবতা হচ্ছে তার পুরো উল্টো। ব্যাংকগুলো ভেঙে পড়েছে মানুষ আস্থা রাখবে কোথায়?