বাংলাদেশ ল’ সোসাইটির সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে অভিনব কায়দায় ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে জনমতকে উপেক্ষা করা হয়েছে দাবী করে সংগঠনের সভাপতি পদপ্রার্থী ম জাকির মিয়া বলেছেন, গত ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ল সোসাইটির নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি ল সোসাইটিকে বিদায়ী সভাপতি শামসুদ দোহার কবল থেকে রক্ষার জন্য সদস্যদের প্রতি দাবী জানিয়ে বলেন অন্যথায় আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। খবর ইউএনএ’র।
গত ২ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সোসাইটির ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা মোহাম্মদ আলী ও মোর্শেদা জামান, সহ সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম ময়নুল ও সহ সম্পাদক প্রার্থী মোহাম্মদ সাইদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, সোসাইটির নির্বাচনে ১৮ জন সদস্য সকলের অগোচরে ভোটার হয়ে একটি পক্ষে ভোট প্রদান করেছেন। এব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। অপরদিকে সংগঠনের বিদায়ী সভাপতি শামসুদ দোহা সোসাইটির ফান্ড থেকে যে অর্থ উত্তোলন করেছেন তা নিয়ম-নীতি বহির্ভূত। আমরা জানতে চাই ঐ অর্থ কোথায়? তারা সংগঠনের অনিয়ম দূর করতে প্রয়োজনে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রায় তিন বছর আগে সভাপতিকে না জানিয়েই তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ সংগঠনের তহবিল থেকে ১০ হাজার ডলার উত্তোলন করেন। এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। বরং আইনী ব্যবস্থা নেয়া হলে কারো কারো চাকরূ চলে যেতে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সাবেক সভাপতি মোর্শেদা জামান বলেন, সংগঠনের নেতৃত্ব কুক্ষিগত করে রাখতেই আমাদের না জানিয়ে ১৮জনকে ভোটার বানিয়ে নির্বাচনে একটি মহল জয়ী বলে দাবী করেছেন।
সহ সভাপতি নিজাম উদ্দিন বলেন, সংগঠনের ১০ হাজার ডলার উঠিয়ে নেয়া প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে একাধিক সভায় সভাপতি শামসুদ দোহার সাথে বাদানুবাদ হয়েছে এবং তিনি কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।