এনআরসি নিয়ে ভারতের রাজনীতির ময়দানের যখন তোলপাড় চলছে ঠিক তখনই নতুন ছবির ঘোষণা দিয়েছেন সালমান খান। এর মাধ্যমে আবারও বুঝিয়ে দিলেন নিজের প্রফেশনের বাইরের বিষয় এড়িয়ে চলতেই পছন্দ করেন তিনি। তবে তার নতুন ছবিতে থাকছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতির বার্তা। অনন্ত নাম সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে,‘কভি ঈদ কভি দিওয়ালি’।
ঈদের সাথে অবশ্য ভাইজানের সিনেমার একটা সূত্র রয়েছে। কারণ, প্রতি বছর ঈদ সালমান তার অনুরাগীদের ‘ঈদি’ হিসেবে উপহার দেন বাণিজ্যিক মশলাযুক্ত মুচমুচে ছবি। আর ভাইজানের ছবি মানেই বক্স অফিসে তুফানি। তা পরের বছরও তার অন্যথা হবে না। কারণ, ২০২০ সালের শুরুতেই সল্লু মিঞা কিন্তু পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ঈদের স্লট বুক করে নিয়েছেন। নতুন ছবির ঘোষণার পাশাপাশি প্রকাশ্যে আনলেন পরিচালক-প্রযোজকদের।
প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার ছবি। গল্পও তার সাজানো। পরিচালক ফারহাদ সামজি। যিনি অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘হাউসফুল ফোর’-এর পরিচালনা করেছেন। যৌথভাবে প্রযোজনা করছেন ভাইজানের প্রযোজনা সংস্থা সলমন খান ফিল্মস। সল্লু মিঞার ছবির ঘোষণা মানেই ভক্তদের উন্মাদনা। এবারও তার অন্যথা হল না। তবে প্রশ্ন উঠেছে ভাইজানের ছবির নাম নিয়ে। নামটা এরকম ‘কভি ইদ কভি দিওয়ালি’ কেন? প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। সালমান যদিও এর আগে ‘বজরঙ্গী ভাইজান’ছবির মধ্য দিয়ে সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছিলেন। এবারও বোধহয় সেরকমই ছবি আসতে চলেছে।
গোটা দেশজুড়ে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বন্ধের দাবিতে এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বার্তার প্রতিবাদে গত বছর সরব হয়েছিলেন ৪৯ বিদ্বজ্জন৷ দেশের অস্থির পরিস্থিতিতে প্রত্যেকের কপালেই তখন ভাঁজ। যার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়েও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তারা। ‘জয় শ্রীরাম’ থেকে গণপিটুনি, যাবতীয় অসহিষ্ণুতামূলক বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো বিদ্বজ্জনদের সেই চিঠিতে। সেই পরিস্থিতির অবশ্য খুব একটা হেরফের হয়নি বর্তমানেও। সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়েই কি সম্প্রীতির বার্তা দিতে সলমন খানের ছবি ‘কভি ইদ কভি দিওয়ালি’? অনুরাগীরা কিন্তু এমনটাই বলছেন।