রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৮ অপরাহ্ন

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২
  • ১২৯ বার

দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা থেকে হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া বেশির ভাগের বিরুদ্ধে অপ্রতুল শিক্ষক, অবকাঠামো, অবৈধ ক্যাম্পাস, নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, সনদ বাণিজ্য নিয়ে পত্রপত্রিকায় বিস্তর লেখালেখি হয়েছে। সরকার ও ইউজিসির তরফ থেকেও অনিয়মে জড়িত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়। মাঝেমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেয়া হলেও পরিস্থিতির তেমন পরিবর্তন হয়নি।

দুর্নীতিতে জড়িত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতাধর উদ্যোক্তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির নির্দেশনা বা নীতিমালা তেমন গ্রাহ্য করেন না বলে প্রতীয়মান হয়। সরকারি পাবলিক ভার্সিটির আসন স্বল্পতায় নব্বইয়ের দশকে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেয়া শুরু। বেশির ভাগ নামসর্বস্ব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ ও নিজস্ব অ্যাকাডেমিক ক্যাম্পাস তৈরি না করেই আবাসিক ভবন অথবা ভাড়া করা ফ্লোরে অপর্যাপ্ত স্থানে মিথ্যা, লোভনীয় অফার ও বিজ্ঞাপনে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করে থাকে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তিতে লাখ টাকা এবং প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা টিউশন ফি আদায় করে। তবে অধিকাংশই মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত না করেই উচ্চশিক্ষার সনদ দেয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে বাণিজ্যতে জড়িয়ে পড়ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হতে পারে, বিদ্যমান শিক্ষা নীতিমালা আইন বাস্তবায়ন না করে শুধু ভ্যাট আদায় করেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির বৈধতা দিতে চায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বছরের পর বছর নানাভাবে অনৈতিক সার্টিফিকেট জালিয়াতি ও বাণিজ্য চালিয়ে গেলেও ইউজিসি ও মন্ত্রণালয় কার্যত নিষ্ক্রিয়। অধিকন্তু অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা ও ভিসি নিয়োগ নিয়ে উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বার্থদ্বন্দ্ব, মামলা ও দখলবাজি চলছে। ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা ও অনিশ্চয়তার সম্মুখীন।

অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বাণিজ্যিকীকরণের মানসিকতার বলি শিক্ষা ও শিক্ষার্থীরা। ২০১৬ সালে টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিংস স্যাপ্লিমেন্টে প্রকাশিত ডেভিড ম্যাথুসের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমের করুণ চিত্র উঠে এসেছে। বিশ্বের কোথাও যদি অরাজক, অনিয়ন্ত্রিত ও শোষণমূলক বেসরকারি উচ্চশিক্ষা-ব্যবস্থা থেকে থাকে ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার গবেষক ম্যাট হুসেইন সেটি খুঁজে পেয়েছেন। রাজধানী ঢাকার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর ছয় সপ্তাহব্যাপী একটি গবেষণা চালিয়ে তিনি যে বেহাল অবস্থা দেখতে পেয়েছেন, তার প্রতিবেদনে সেটি উল্লেখ করেছেন।

ম্যাট হুসেইনের গবেষণা নিবন্ধের শিরোনাম ‘জম্বি গ্র্যাজুয়েটস ড্রিভেন বাই রিকশা ফ্যাকাল্টি এ কোয়ালিটেটিভ কেস স্টাডি : প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিজ ইন বাংলাদেশ’। ম্যাট হুসেইন গবেষণায় উল্লেখ করেন, ১০ জনের ৯ জনই স্বল্পমেয়াদি চুক্তিতে কাজ করেন। তারা বয়সে সাধারণত তরুণ। আপাতত উপার্জনের পথ খুঁজছেন এমন ব্যক্তিদেরই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় নিয়োগ দেয়া হয়। তাদের বেতন খুব অল্প। যথেষ্ট রোজগারে এক ক্যাম্পাস থেকে আরেক ক্যাম্পাসে প্রতিদিনই ছুটতে হয়। রিকশা আরোহী এমন শিক্ষকদের ‘রিকশা ফ্যাকাল্টি’ অভিহিত করে তিনি বলেছেন, প্রতিটি ক্লাসে এত দ্রুত ছুটে যেতে হয় যে, সবসময় তারা নিজেদের শিক্ষার্থীদের নামও জানতে পারেন না। প্রভাষকরা প্রায় ‘যান্ত্রিক’ হয়ে পড়েন। তরুণ এসব শিক্ষকের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। হতে পারে সংখ্যায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বেশি হওয়ায় এবং যোগ্য শিক্ষকের জোগান কম হওয়ায় এমন অবস্থা।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সব শিক্ষার্থীর জন্য উচ্চশিক্ষার ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ সম্ভব না হওয়ায় এবং বিদেশমুখী প্রবণতা রোধে ১৯৯২ সালে দেশে শুরু হয়েছিল শিক্ষার নতুন এক ধারা; যার নাম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে ১০৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থী পাওয়া যাবে, ব্যবসা ভালো হবে এ বিবেচনায় আরো ১২৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন জমা পড়েছে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে মাত্র ১০টির ‘মান ভালো’। ১৬টির মান ‘মোটামুটি’, আর অনেকগুলোর মান ‘খুব খারাপ’ এমন চিত্রই উঠে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের এক জরিপে। প্রতিষ্ঠার পর প্রথম কয়েক বছর সঠিক পথেই হাঁটছিল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কিন্তু নব্বইয়ের দশকের শেষ দিক থেকে অল্প ও ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগে প্রচুর মুনাফার মানসিকতা নিয়ে ‘ব্যাঙের ছাতার মতো’ গজিয়ে উঠতে শুরু করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা না ব্যবসা এ সমস্যার শুরুও তখন থেকেই। এত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে; কিন্তু গুণগত শিক্ষার মান নিশ্চিত করা হচ্ছে না। অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক দায়বদ্ধতা বা সেবার মানসিকতা থেকে সরে এসে শিক্ষাদানের পরিবর্তে সনদ বাণিজ্যের সাথে জড়িয়ে পড়ছে; যা জাতির জন্য অশনি সঙ্কেত। বাণিজ্যের সুযোগ রয়েছে বলেই শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাস বিক্রি করতে পেরেছে তিনটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জমি না কিনে মালিক বা ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের নামে জমি কিনছেন। শিক্ষার সাথে ব্যবসা যুক্ত হওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অর্থ আদায় করছে ঠিকই; কিন্তু গুণগত ও মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করছে না।

অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়ায় কাগজে-কলমে মানদণ্ড অনুসরণের কথা থাকলেও যতটা পারছে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পর্যালোচনায় সন্তোষজনক বলে বিবেচিত কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কিছু বিষয়ে একটি শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বা বুয়েটে ভর্তি শিক্ষার্থীদের চেয়ে পাঁচ-ছয় গুণ শিক্ষার্থী ভর্তি করছে। অথচ অবকাঠামোগত ও শিক্ষা উপকরণের সুযোগ-সুবিধা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বা বুয়েটের এক-দশমাংশেরও কম। প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় অনাবাসিক, কোনো ছাত্রাবাস নেই। গবেষণা উপযোগী গবেষণাগার গড়ে তোলার উদ্যোগও পরিলক্ষিত হয় না। ফলে শিক্ষাদান পরিণত হয়েছে ব্যবসায়। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় চলছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ট টাইম শিক্ষক দিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব শিক্ষক সংখ্যা নিতান্তই অপ্রতুল। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুধু পুঁথিগত বিদ্যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। নামে বিশ্ববিদ্যালয় হলেও জ্ঞাননির্ভর ছাত্র তথা জাতি গঠনের প্রক্রিয়া ও উদ্যোগ সেখানে একেবারেই নেই। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মেধা যাচাই প্রক্রিয়া এখনো সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও আন্তর্জাতিক মানের পর্যায়ে উন্নীত হতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব উপায়ে মেধা যাচাই করে সনদ দিয়ে থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সিজিপিএ ধারী ছাত্রও কর্মক্ষত্রে প্রয়োজনীয় দক্ষতা দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে, যা তাদের মেধা যাচাই প্রক্রিয়ার মানকে করছে প্রশ্নবিদ্ধ।

উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে চাই পরিকল্পিত ও আধুনিক মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে একের পর এক নতুন বিভাগ চালু করছে দেশের কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি অনুমোদন ছাড়াই কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বেশ কয়েকটি বিভাগ খোলার চেষ্টা করায় ইউজিসি তা নাকচ করে দিয়েছে। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগ থেকে দুই, তিন এমনকি চারটি বিভাগও খোলা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, কিছু শিক্ষকের দ্রুত চেয়ারম্যান হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পূরণ এবং নতুন শিক্ষক নিয়োগে পদ সৃষ্টির মতো বিষয়গুলোই প্রাধান্য পাচ্ছে এসব বিভাগ খোলার ক্ষেত্রে। কাউকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিতে কিংবা কয়েকজনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে ব্যক্তিস্বার্থে এগুলো করা হচ্ছে। এসব বিভাগের সিলেবাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, একটি বিভাগই যথেষ্ট। যেসব বিষয়ে পাঠদানে একটি কোর্সই যথেষ্ট, সে বিষয়েও বিভাগ খোলা হয়েছে। চাকরির বাজারে চাহিদা নেই এমন বিভাগও খোলা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় বিভাগ খোলায় শিক্ষার মান নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এভাবে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা তথা সরকারের ভাবমর্যাদা নষ্ট করাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা উচিত।

অন্য দিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা কর্মকাণ্ড নিয়ে অভিযোগ রয়েছে বিস্তর। বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর মানোন্নয়নে মনোযোগী হওয়ায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণায় আন্তর্জাতিক যোগাযোগে উচ্চ গতিসম্পন্ন ডাটা যোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। এ সরকারের আমলেই ইউজিসি ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের মধ্যে কোম্পানিটির দেশব্যাপী বিস্তৃত অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক ২০ বছরব্যাপী ব্যবহার বিষয়ে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি কার্যক্রমে অনলাইন পদ্ধতির ব্যবহার যুক্ত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির আবেদনপত্র ও ফি নেয়া হচ্ছে। শুধু বাণিজ্যিক স্বার্থ প্রাধান্য না দিয়ে দেশের কল্যাণে সমাজ ও রাষ্ট্রের নেতৃত্ব অর্জনে শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা এবং তাদের সৃজনশীলতা ও মেধা মনন বিকশিত করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নৈতিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।

তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে জাতির আলোকিত ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে- সে রকমই মনে হচ্ছে। এ পরিস্থিতি উত্তরণে কোনো শুভ লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। সরকারিভাবে কোনো ভালো পদক্ষেপ বা সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তাব্যক্তিরা এক জোট হয়ে সে সমস্যা সমাধানের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে ইউজিসিসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও কোথায় যেন আটকে যায়? বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কর্মকাণ্ডের অবসান ঘটিয়ে উচ্চ শিক্ষার মানকে আন্তর্জাতিকীকরণে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। দিকভ্রষ্ট হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জেনে বুঝে এবং সচেতনভাবে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ফল ও সনদ জালিয়াতি করে শিক্ষার প্রগতিমুখী ধারা কলুষিত করছে। এগুলোতে যে ফল হচ্ছে, তাতে ফলাফল লাভকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ব প্রতিযোগিতার ধারা থেকে ছিটকে পড়ছে। অদক্ষ, কর্মমুখী ও সৃজনশীল শিক্ষার ঘাটতিতে সমাজে ক্রমেই শিক্ষিত বেকার বাড়ছে। আর বেকারত্বের এ চাপে দেশে ক্রমেই দারিদ্র্য প্রকট হয়ে উঠছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল বিষয়গুলোতে বিশেষ নজর দিয়ে এর প্রতিকারার্থে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। একই সাথে অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের অসহায়ত্ব ও দুরবস্থা দূরীকরণে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিয়ে জাতিকে অভিশাপ মুক্ত করবেন।

লেখক : সাবেক উপমহাপরিচালক, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com