মুহাম্মদ অর্থ প্রশংসিত। সত্যিই তিনি এত প্রশংসিত যে, মানুষের মধ্যে তাঁর দ্বিতীয় নজির নেই। পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষকে তাঁর নামে ডাকা হয়, পৃথিবীতে ২৪ ঘণ্টায় আজানে তাঁর নাম ধ্বনিত হয়। নামাজে ও নামাজের বাইরে মুসলিমরা সবসময় তাঁর জন্য দরুদ পাঠ করেন। দিন-রাত তাঁর রওজা মুবারক জিয়ারত করা হয়। তাকে নিয়ে যত বই বা জীবনী গ্রন্থ লেখা হয়েছে পৃথিবীতে আর কোনো নবী বা অবতারকে নিয়ে এত বেশি লেখা হয়নি।
তাঁর নামে ইয়াসরিব শহরের নামকরণ করা হয়েছে মদিনাতুন নবী বা মদিনা। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর আমি (মর্যাদার) জন্য আপনার স্মরণকে সমুন্নত করেছি’। (কুরআন ৯৪ : ৪) মহান আল্লাহ শেষ নবীকে কুরআনে নানাভাবে প্রশংসা করেছেন, ‘আর নিশ্চই আপনি মহান চরিত্রের উপর অধিষ্ঠিত’। (কুরআন ৬৮ : ৪)
মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় নবীর ইবাদতের ব্যাপারে নিজেই বর্ণনা দিচ্ছেন, ‘হে নবী, আপনার সৃষ্টিকর্তা প্রভু জানেন যে, আপনি কখনো রাতের দুই-তৃতীয়াংশ সময় আর কখনো অর্ধেক রাত ও কখনো এক-তৃতীয়াংশ রাত ইবাদতে দাঁড়িয়ে থাকেন।’ (কুরআন ৭৩ : ২০) আয়েশা রা: বলেন, ‘আল্লাহর নবী রাতে এত বেশি নামাজ আদায় করতেন যে, তাঁর দুই পা ফেটে যেত।’ (বুখারি)
শেষ নবীর আগমনী বার্তা ও প্রশংসা অন্যান্য ঐশী ধর্মগ্রন্থেও বর্ণনা করা হয়েছে। ড. শিবশক্তি স্বরূপজী (মরহুম ইসলামুল হক) অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আট বছর ধরে ১০টি ধর্মের ওপর গবেষণা করে পিএইচডি অর্জন করেন। তার মতে, হিন্দু ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ বেদে রাসূল সা:-এর আগমনের কথা সবচেয়ে সুন্দরভাবে উল্লেখ করা হয়েছে অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের তুলনায়।
সম্প্রতি ভারতের এলাহাবাদ ইউনিভার্সিটির বিখ্যাত প্রফেসর ড. বেদপ্রকাশ উপাধ্যায়ের দীর্ঘ গবেষণার পর রচিত বই ‘কলকি অবতার আউর মুহাম্মদ সাহাব’ ওই দেশে চিন্তাশীলদের মধ্যে আলোড়ন তুলেছে। বই প্রকাশের আগে তিনি আটজন বিখ্যাত হিন্দু পণ্ডিতের কাছে এর পাণ্ডুলিপি পাঠিয়েছিলেন। তারাও তার গবেষণার সাথে দ্বিমত পোষণ করতে পারেননি। তার গবেষণার উপসংহারে তিনি বলেন, ‘কলকি অবতার’ বা শেষ ও বিশ্বনবীর জন্য আর অপেক্ষা করার কোনো যুক্তি নেই। তিনি ইতোপূর্বে এসে গেছেন। তাঁর বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ-
অথর্ববেদ : তিনি নরশংশা বা প্রশংসিত। তিনি কৌরামা (শান্তির দূত)
পুরাণে বর্ণিত আছে যে, ‘কলকি অবতার’ হবেন মহান সৃষ্টিকর্তার শেষ অবতার (নবী) সমগ্র মানবতাকে পথ প্রদর্শনের জন্য।
পণ্ডিত বেদপ্রকাশ উপাধ্যায় কলকি অবতারের অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেয়েছেন-
‘তিনি মরুস্থলে (সংস্কৃত-মরুভূমি) জন্মগ্রহণ করবেন। ‘তাঁর বাবার নাম বিষ্ণু ভগত (বিষ্ণু-খোদা) আরবিতে আবদুল্লাহ। তাঁর মায়ের নাম হবে সোমানিব অর্থাৎ প্রশান্তি (আরবিতে আমিনা)। তিনি সম্ভ্রান্ত বংশে জন্মগ্রহণ করবেন (কোরাইশ বংশ)। তিনি জলপাই, খেজুর ও গোশত খাবেন, স্রষ্টা তাকে গুহায় শিক্ষা দেবেন (হেরা গুহা)। তাঁর থাকবে দ্রুতগামী ঘোড়া যার সাহায্যে তিনি সপ্তম আকাশ পরিভ্রমণ করবেন (মেরাজের বর্ণনা)। তাকে খৎনা করা হবে, তাঁর দাড়ি থাকবে, তিনি আজান প্রবর্তন করবেন। তিনি সোমবার জন্মগ্রহণ করবেন, তাঁর থাকবে চারজন উত্তম সহচর (চার খলিফা)। তিনি তরবারি, তীর ও ঘোড়া চালনায় দক্ষ হবেন। তাঁকে স্রষ্টা কর্তৃক শক্তভাবে সাহায্য করা হবে (বদরের যুদ্ধে সরাসরি ফেরেশতা দিয়ে সাহায্য করা হয়)। তিনি বিরাট বিপ্লব সাধন করবেন। কী সেই বিপ্লব?
রাসূল সা: যখন জন্মগ্রহণ করেন তখন পৃথিবী ছিল গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত। তাঁর দেশ আরবে মূর্তি পূজা, মৃত মানুষের আত্মার পূজা, নক্ষত্র পূজা, অশিক্ষা, কুসংস্কার, জুয়া, মদ, লুটতরাজ, হত্যা, মেয়েদের জীবন্ত কবর দেয়া ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। রোমান সাম্রাজ্যের মেয়েদের উলঙ্গ হয়ে ফ্লোরা নামক দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হতো। যুদ্ধবন্দীদের হিংস্র ক্ষুধার্ত পশুর সামনে ছেড়ে দিয়ে আনন্দ উপভোগ করত। দাসদের সামান্যতম মানবিক মর্যাদা ছিল না। তাদের পরস্পরের সাথে মল্লযুদ্ধ করতে হতো একজনের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত।
রাসূল সা: ছিলেন উম্মি অর্থাৎ পড়তে ও লিখতে পারতেন না। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে মহান আল্লাহর প্রত্যক্ষ সাহায্যে তিনি হলেন এক অতুলনীয় তত্ত¡জ্ঞানী, সমাজ ও নৈতিক সংস্কারক, একজন সুদক্ষ রাষ্ট্রপ্রধান, শক্তিমান আইনপ্রণেতা, উচ্চস্তরের বিচারপতি এবং অদ্বিতীয় সেনাধ্যক্ষ। বাইরের এই সফল নেতা ঘরে এসে নিজ হাতে জুতা সেলাই করতেন, ঘর ঝাড়ু দিতেন, ঘরের কাজে সহায়তা করতেন। বদরের যুদ্ধে যাওয়ার পথে পালাক্রমে উটের দড়ি টেনেছেন সাথীদের উটের উপর বসিয়ে। মসজিদে নববী তৈরির সময় ও খন্দকের যুদ্ধে তিনি পাথর বহন করেছেন, মাটি কেটেছেন।
২৩ বছরের মধ্যে তিনি ১২ লাখ মাইল বিস্তৃত মরুভূমির বিক্ষিপ্ত যুদ্ধবাজ ও চিরকালের আত্মকলহপ্রিয় গোত্রগুলোকে আরবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক ধর্ম, এক জীবন-ব্যবস্থা, এক কৃষ্টি ও সংস্কৃতি, এক রাষ্ট্র ও সভ্যতা, এক আইন ও এক অখণ্ড প্রশাসনিক ব্যবস্থার অধীনে সুসঙ্ঘবদ্ধ করে নিলেন। রাসূল সা: এমন এক জাতি তৈরি করলেন যাদের সততা, চরিত্র ও ন্যায়বিচারে মুগ্ধ হয়ে পৃথিবীর অন্যান্য জাতি তাদের পৃথিবীর নেতৃত্বের আসনে বসাল। একজন পাশ্চাত্যবিদের মতে, ইসলামের সাম্য ও ন্যায়ের বাণী বিদ্যুৎবেগে পৃথিবীতে ছড়াতে লাগল। রাসূল সা:-এর তিরোধানের ৮০ বছরের মধ্যে ইসলাম স্পেন থেকে সিন্ধু ও সমরকন্দ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ল।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের পুরোধা গান্ধীজীর ভাষায় : ‘আমি জীবনীগুলোর মধ্যে সেরা একজনের জীবন সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম যিনি আজ লক্ষ কোটি মানুষের হৃদয়ে অবিতর্কিতভাবে স্থান নিয়ে আছেন। যেকোনো সময়ের চেয়ে আমি বেশি নিশ্চিত যে, ইসলাম তরবারির মাধ্যমে সে দিনগুলোতে মানুষের জীবনধারণ পদ্ধতিতে স্থান করে নেয়নি। ইসলাম-প্রসারের কারণ হিসেবে কাজ করেছে নবীর দৃঢ় সরলতা, নিজেকে মূল্যহীন প্রতিভাত করা, কঠোর ওয়াদা-চুক্তিপালন, বন্ধু ও অনুসারীদের জন্য নিজেকে চরমভাবে উৎসর্গ করা, তাঁর অটল সাহস, ভয়হীনতা, ঈশ্বর এবং তাঁর (নবীর) ওপর অর্পিত দায়িত্বে অসীম বিশ্বাস। (Young India,1924)
মাইকেল এইচ হার্ট রাসূল সা:-কে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ‘মানব জাতির ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তিত্ব যিনি ধর্মীয় ও জাগতিক এই উভয় ক্ষেত্রে এক যোগে বিপুলভাবে সফলকাম হয়েছিলেন…। আজ তাঁর মৃত্যুর ১৩ শ’ বছর পরও তাঁর প্রভাব অত্যন্ত প্রখর ও বিস্তৃত।
স্বামী বিবেকানন্দের মতে, ইসলাম ভারতের অধঃপতিত বিরাট জনগণের প্রতি এক আশীর্বাদ স্বরূপ এসেছে। স্যার পিসি রামস্বামী আয়ার বলেন, ‘মুহাম্মদের ধর্ম ব্যতীত আর কোনো ধর্মই ব্যবহারিক জীবনে সামান্যতম উজ্জ্বল হতে পারেনি। জাতির অহঙ্কার, সাদা-কালো, বাদামি বর্ণের অহঙ্কার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমি অন্য কোনো তত্ত্বের আশ্রয় নিতে চাই না। দেখতে পাই, ইসলামেই শুধু কোনো অহঙ্কার নেই।’
এমন একজন সফলতম মহামানব সম্বন্ধে কিছুদিন পরপর মিথ্যা অপপ্রচার করা হয় বিভিন্ন দেশে। যখন উগ্রবাদী শিবসেনা ভারতে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন করে অথবা মসজিদ ভেঙে ফেলে, তখন কেউ কিন্তু শ্রীকৃষ্ণকে দায়ী করে না। যখন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর পাশবিক গণহত্যা হলো, তখন কেউ এ জন্য বুদ্ধকে অপমান করার চেষ্টা করেনি। তেমনি ১৫ লাখ নিরীহ ইরাকি গণহত্যার দায় যিশুর নেই। তাহলে মুহাম্মদ সা:-এর এত বদনাম কেন?
জর্জ বার্নার্ড শ বলেন, এই যুদ্ধবিধ্বস্ত অশান্ত পৃথিবীতে মুহাম্মদ সা:-এর মতো যদি একজন শাসনকর্তা থাকত, তাহলে পৃথিবীতে শান্তি ফিরে আসত। এখানেই অত্যাচারী শাসকদের ভয়। তিনি না থাকলেও তাঁর ওপর অবতীর্ণ ঐশী গ্রন্থ কুরআন ও তাঁর শিক্ষা অবিকৃত এবং ভালোভাবে সংরক্ষিত আছে। তাঁর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনেক মুসলিম দেশে স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছে। অশান্ত পৃথিবীর মানুষ প্রতিনিয়ত ইসলামের শান্তির নীড়ে আশ্রয় নিচ্ছে।
ভারতের বিজেপির কিছু নেতা যখন রাসূল সা:-কে বাল্যবিয়ের অভিযোগ দেন, তখন তারা দুটো জিনিস ভুলে যান। হিন্দু ধর্মের দেবতাদের ইতিহাস এবং বাল্যবিয়ের অতীত ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট। রামচন্দ্র যখন সীতাকে বিয়ে করেন, তখন সীতার বয়স ছিল ছয় বছর (পুরাণ ও রামায়ণ)। শ্রীকৃষ্ণ যখন রক্ষিণীকে বিয়ে করেন তখন তার বয়স ছিল আট বছর (পুরাণ)। বিয়ের সময় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের স্ত্রীর বয়স ছিল আট বছর, আর বঙ্কিম চন্দ্রের স্ত্রীর বয়স ছিল পাঁচ বছর। হিন্দু ধর্মগ্রন্থে শ্রীকৃষ্ণের মতো একজন অবতার বা বাইবেলে আদম, লুত, দাউদ, সুলায়মান, ইউসুফ আ:-এর মতো নবীদের যেভাবে চরিত্র হরণ করা হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক।
বিভিন্ন বর্ণনা মতে, শ্রীকৃষ্ণের আটজন স্ত্রী ছিল ও বিয়ে করেছিলেন প্রায় ১৬ হাজার।
বাইবেলের বর্ণনা মতে, সুলায়মান আ:-এর ৭০০ স্ত্রী ছিল, আর উপপত্নী ছিল ৩০০ (নাউজুবিল্লাহ)।
ওই সব ধর্মের অনুসারীরা যখন রাসূল সা:-এর বহু বিয়ে নিয়ে সমালোচনা করেন তখন তাঁর সার্বিক চারিত্রিক বিশিষ্ট্যগুলো এড়িয়ে যান। রাসূল সা: ২৫ বছর বয়সে তাঁর চেয়ে বয়সে বেশ বড় বিধবা খাদিজা রা:-কে বিয়ে করেন এবং ২৫ বছর তাঁকে নিয়েই সংসার করেন। তাঁর মৃত্যু হলে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রহণ করেন যার বয়স ছিল ৫০। রাসূল সা: ৫৫-৫৯ বছর বয়সে অন্য উম্মুল মুমিনিনদের বিয়ে করেন যার কারণ ছিল রাজনৈতিক, মানবিক ও মহিলাদের মধ্যে ইসলাম প্রচার।
বুখারি শরিফের বর্ণনা মতে, স্বপ্নে রাসূল সা:-কে তাঁর হবু স্ত্রী আয়েশা রা:-কে দেখান হয়। অর্থাৎ আল্লাহর নির্দেশে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। বুখারি ও মুসলিম শরিফ থেকে জানা যায়, আয়েশা রা: ৯ বছর বয়সে রাসূল সা:-এর ঘরে আগমন করেন এবং তাঁর ১৮ বছর বয়সের সময় রাসূল সা: ইন্তেকাল করেন। এই ৯ বছর রাসূল সা:-এর সান্নিধ্যে থেকে তিনি বিরাট জ্ঞানের অধিকারী হন।
হজরত আবু মুসা রা: বলেন, আমরা রাসূল সা:-এর সাহাবিদের কাছে কোনো হাদিসের অর্থ বোঝা কঠিন হলে আয়েশা রা:-কে প্রশ্ন করে তাঁর কাছে এর সঠিক জ্ঞান লাভ করেছি (তিরমিজি)। রাসূল সা: যখন আয়েশা রা:-এর কাছে থাকতেন তখন বেশি বেশি ওহি নাজিল হতো। রাসূল সা: সহধর্মিণীদের বেশির ভাগই রাসূল সা:-এর ইন্তেকালের কয়েক বছরের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন। একমাত্র আয়েশা রা: দীর্ঘ প্রায় ৪০-৫০ বছর হাজার হাজার সাহাবি, তাবেয়ি ও তাবে-তাবেয়ির মধ্যে হাদিসের জ্ঞান বিতরণ করেন।
রাসূল সা: বলেন, ‘যাবতীয় খাদ্যের ওপর যেমন সারিদের স্থান, সমস্ত স্ত্রীলোকদের ওপর আয়েশার স্থানও তেমন’ (তিরমিজি)। অর্থাৎ মহান আল্লাহ তাঁর দ্বীনের জন্যই আয়েশা রা:-কে বাছাই করে নিয়েছিলেন যেমন তিনি বাছাই করে নিয়েছিলেন মারিয়াম আ:-কে।
বিখ্যাত ব্রিটিশ লেখিকা অ্যানি বেসান্ত বলেন, ‘ইসলামকে প্রায়ই অন্যায়ভাবে আক্রমণ করা হয়। মানুষের উপকারের জন্য ইসলাম বহু বিয়ের অনুমতি দেয়, এটি সত্য। এতে বিশৃঙ্খলা, যৌন অনৈতিকতা রোধ হয় অনেকাংশে। পাশ্চাত্যে আছে ভান করা এক বিয়ে; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেখানে আছে দায়িত্বহীন বহু বিয়ে। আমি প্রায়ই ভাবি যে, নারীরা খ্রিষ্টধর্মের চেয়ে ইসলামে অধিকতর মুক্ত। এক বিয়ে প্রচারকারী ধর্মবিশ্বাসের চেয়ে ইসলামের দ্বারা নারীরা অধিকতর সুরক্ষিত।’
গুরু নানক বলেন, বেদ ও পুরাণের যুগ চলে গেছে। এখন দুনিয়াকে পরিচালিত করার জন্য কুরআনই একমাত্র গ্রন্থ।
লেখক : মেডিসিন ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ