যুক্তরাজ্যের ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল তাদের রাজকীয় উপাধি হারিয়েছেন। এখন থেকে তারা আর রাজকীয় উপাধি ব্যবহার করতে পারবেন না। রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাদের সরকারি বাসস্থান উইন্ডসর ক্যাসেল সংস্কার করতে যে প্রায় ৩০ লাখ ডলার খরচ হয়েছে, তা শোধ করতে হবে। শনিবার বাকিংহাম প্রাসাদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
রাজপরিবারে হ্যারি ও মেগানের উপাধি ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অব সাচেক্স। এর আগে, গত ৮ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে যৌথ বিবৃতিতে হ্যারি-মেগান জানান, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য তারা রাজকীয় দায়িত্ব থেকে অবসর নিতে চান। সেই ইচ্ছার ফলশ্রুতিতে রাণীর বিশেষ প্রতিনিধি, হ্যারি ও রাজপরিবারের সিনিয়র সদস্যরা এই চুক্তিতে পৌঁছান। এ নিয়ে রাণীর সঙ্গে বৈঠকেও বসেছিলেন হ্যরি। ওই ঘোষণায় আরো বলা হয়, তারা স্বাধীনভাবে অর্থ উপার্জন করতে চান এবং ব্রিটেনের পাশাপাশি উত্তর আমেরিকাতেও বসবাস করতে চান।
রয়েল প্যালেস সূত্র আরও জানিয়েছে, হ্যারি ও মেগান তাদের সন্তান আর্চিকে নিয়ে বেশিরভাগ সময় উত্তর আমেরিকাতে অবস্থান করবেন। অর্থ উপার্জানের জন্য তারা নিজেদের মতো করে কাজ করতে পারবেন। তবে রাণীর সম্মানহানি হয় এমন কিছুর সঙ্গে জড়িত হবেন না। চলতি বসন্তের শেষেই এই আদেশ কার্যকর হবে। এক বছর পর তা পুনরায় মূল্যায়ন করা হবে।
উল্লেখ্য, শৈশব থেকেই প্রিন্স হ্যারি কিছুটা স্বাধীন জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। ২০১৬ সালে হলিউড অভিনেত্রী মেগান মার্কেলের সঙ্গে হ্যারির প্রণয় হয়। কিছুদিন আগে বড় ভাই উইলিয়ামের সঙ্গে হ্যারির সম্পর্কের অবনতি হয়েছে এমনটা আভাস দেয় ব্রিটেনের সংবাদপত্রগুলো। বেশ কিছু দিন ধরেই হ্যারি ও মেগান বিষয়টি নিয়ে যুবরাজ চার্লসের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং আলোচনার জন্য রাণীর সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন। কিন্তু বড়দিনের আগে সেই সাক্ষাৎ না পেয়ে তারা অবকাশ কাটাতে কানাডায় চলে যান এবং সেখানে বসেই তাদের রাজপরিবার থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত জনসমক্ষে প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেন। সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস।