‘মুহররম’ হিজরি বছরের প্রথম মাস। এই মাসের ১০ তারিখকে আশুরা বলা হয়। আশুরাকে কেন্দ্র করে বছরের প্রথম মাসটি অত্যন্ত সম্মানিত। এর রয়েছে ঐতিহাসিক তাৎপর্য। অসংখ্য কালজয়ী ঘটনার সাক্ষী পবিত্র আশুরা। এ বছর পবিত্র আশুরা আগামী মঙ্গলবার (৯ আগস্ট)।
আরবি ‘আশারা’ থেকে আশুরা শব্দটি এসেছে। এর অর্থ দশম। শুধু উম্মতে মোহাম্মদিই নয়, পূর্ববর্তী অনেক উম্মত ও নবীর অবিস্মরণীয় ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল এই দিনে। গুরুত্বপূর্ণ এই দিনকে ঘিরে অনেক কুসংস্কার, ভুল বিশ্বাস ও কাজের চর্চা রয়েছে মুসলিম সমাজে; যার অধিকাংশই ভিত্তিহীন। তবে ভিত্তি রয়েছে- এমন গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতের তিনটি আমল—
রোজা রাখা
আশুরার দিনে রোজা রাখার আমল সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। আশুরা উপলক্ষে দুই দিন রোজা রাখা মোস্তাহাব। মুহররমের ১০ তারিখের আগে বা পরে এক দিন বাড়িয়ে রোজা রাখার কথা হাদিস শরিফে এসেছে। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে আশুরার রোজা ফরজ ছিল।
জাবের রা: থেকে বর্ণিত, ‘রাসূল সা: আমাদের রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে আশুরার রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন এবং এর প্রতি উৎসাহিত করতেন। আর এ বিষয়ে তিনি নিয়মিত আমাদের খবরাখবর নিতেন। যখন রমজানের রোজা ফরজ করা হলো, তখন আশুরার রোজার ব্যাপারে তিনি আমাদের নির্দেশও দিতেন না, নিষেধও করতেন না। আর এ বিষয়ে তিনি আমাদের খবরাখবরও নিতেন না।’ (মুসলিম : ১১২৮)
পরিবারের জন্য ভালো খাবারের আয়োজন
আশুরার দিনে যথাসাধ্য ভালো খাবার খাওয়া উচিৎ। হজরত আবদুল্লাহ রা: থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সা: থেকে বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি আশুরার দিনে পরিবারে প্রশস্ততা প্রদর্শন করবে, সে সারা বছর প্রশস্ততায় থাকবে।’ (তাবরানি, মুজামে কবির : ১০০০৭, বায়হাকি : ৩৭৯৫)
আহলে বাইতের (নবী পরিবার) জন্য দোয়া
আহলে বাইত তথা নবীর পরিবারের সদস্যরা শাহাদাতের কারণে তাদের জন্য দোয়া করা, দরুদ পড়া এবং তাদের কাছ থেকে সত্যের ওপর অটল থাকার শিক্ষা গ্রহণ করা। এই তিনটি কাজ ছাড়া আশুরায় অন্য কোনো বিশেষ আমল নেই।