নাটোরে ভাইরাল হওয়া কলেজ শিক্ষিকা সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহারের মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী কলেজছাত্র মামুন হোসেনকে আদালত জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার নাটোর থানা থেকে তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসলেম উদ্দিনের আদালতে প্রেরণ করা হয়। বিচারক বিকেলে মামলাটি আমলে নিয়ে শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নাটোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাছিম আহমেদ জানান, নাটোরের গুরুদাসপুরের খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার ভালবেসে শহরের নবাব সিরাজ-উদ দৌলা সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মামুন হোসেনকে বিয়ে করেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তারা দু’জন শহরের বলারিপাড়া এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। গতকাল রোববার সকালে সেই ভাড়া বাসা থেকে খায়রুন নাহারের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় স্বামী মামুন হোসেনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে রোববার দুপুরে সিআইডির সুরৎহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে রাত ৮টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার স্থানীয় আবু বকর সিদ্দিকী কওমী মাদরাসা মাঠে জানাযা শেষে খামার নাচকৈড় কবরস্থানে তাকে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।