স্বেচ্ছায় ছেড়েছেন রাজকীয় পদমর্যাদা। হারিয়েছেন রাজ ঐশ্বর্য। ক্ষমতা হারিয়ে খাতায় কলমে এখন একেবারে সাধারণ নাগরিক হয়ে গিয়েছেন ব্রিটিশ যুবরাজ হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান। ‘মেক্সিট’ পরবর্তী অধ্যায়ে কীভাবে কাটাবেন হ্যারিরা, কীভাবে চলবে তাদের? এখন এই নিয়ে জল্পনা ব্রিটেনজুড়ে। শুধু আয় করলেই তো হবে না, রাজ পরিবারের সঙ্গে বিচ্ছেদের শর্ত মেনে হ্যারিদের ফেরাতে হবে ৩১ লক্ষ পাউন্ড। উইন্ডসর ক্যাসেলের কাছে বাড়ি মেরামতির জন্য সরকারি কোষাগার থেকে এই অর্থ নিয়েছিলেন তারা। অনেকে অবশ্য বলছেন, নেয়া অর্থ কখনো ফেরত দিতে হয়নি রাজপরিবারের সদস্যদের।
ডিউক ও ডাচেস অব সাসেক্স হ্যারি ও মেগানের ভবিষ্যৎ কর্মপদ্ধতি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে একাধিক মন্তব্য করেছেন তাদের কাছের মানুষজন। তাতে উঠে এসেছে নানান সম্ভাবনার কথা। বিয়ের আগে মেগান একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। সেই পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ভালো রোজগার করতে পারেন তারা। তাদের বন্ধু তালিকায় রয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা থেকে ওপরা উইনফ্রে। তাছাড়া, মেগান আবার অভিনয় জগতে ফিরে যেতে পারেন বলেও অনেকে জানিয়েছেন। গত ডিসেম্বরে একটি ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে। তাতে ডিসনি বস অনুষ্ঠানে মেগানের ভয়েস ওভার দেয়ার আগ্রহের কথা জানান হ্যারি। তা থেকে অনেকের অনুমান, মেগান দম্পতি খুব শিগগিরই নেটফ্লিক্সের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারেন।
স্কাই নিউজ আবার জানিয়েছে, ব্যক্তিগত আয় থেকে কিছু অর্থ ছেলে হ্যারিকে দেবেন যুবরাজ চার্লস। তাছাড়া, হ্যারির নিজের বহু কোটি পাউন্ডের অঘোষিত অর্থ জমা রয়েছে। চলতি পরিস্থিতিতে সেই অর্থ খরচ করবেন তিনি। আর মেগান সুস্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য পণ্যের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। গত ডিসেম্বরেই ‘সাসেক্স রয়্যাল’ নামে একটি ব্র্যান্ডের ট্রেডমার্ক করানো হয়েছে। সেই ব্র্যান্ডও তারা পেতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে এর জন্য রানির অনুমতি দরকার।
এদিকে, রাজপরিবারের সঙ্গে বিচ্ছেদে তিনি ব্যথিত বলে জানিয়েছেন হ্যারি। রবিবার লন্ডনে এইচআইভি আক্রান্তদের জন্য তার দাতব্য সংস্থায় অর্থ সংগ্রহ অনুষ্ঠানে যোগ দেন হ্যারি। সেখানে তিনি জানান, মেগানের সঙ্গে বিয়ের পরে রাজ পরিবারকে সেবা করার ব্যাপারে তারা উৎসাহী ছিলেন। তা সম্ভব না হওয়ায় তারা ব্যথিত।
সূত্র : বর্তমান