সিদ্ধান্ত ছিল সোমবার থেকে কার্যকর হবে ডলারের নতুন লেনদেন হার। কিন্তু তা কার্যকর করেনি কোনো ব্যাংক। তবে মঙ্গলবার থেকে ডলারের নতুন দর কার্যকর করা হবে বলে ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, এসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস এসোসিয়েশন (বাফেদা) রোববার বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয় সোমবার থেকে রপ্তানি নগদায়নে প্রতি ডলার হবে ৯৯ টাকা, আমদানিতে যা পড়বে ১০৪ টাকা ৫০ পয়সা। আর প্রবাসী আয় এক ডলারে লেনদেন হবে ১০৮ টাকায়।
কিন্তু বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখায় দেখা গেছে, এবিবি ও বাফেদার বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি। অধিকাংশ ব্যাংক ডলারের নতুন বিনিময় হার বাস্তবায়ন করেনি। বলা হচ্ছে, লিখিত কোনো নির্দেশনা না আসায় তারা আগের মতোই ডলার কেনাবেচা করা হচ্ছে।
মতিঝিলের সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ে দেখা গেছে, বিদেশে গমনেচ্ছু গ্রাহকরা ডলার কিনতে গিয়ে শূন্য হাতে ফিরছেন। এদিন সোনালীসহ সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা পর্যায়ে রপ্তানি, আমদানি কিংবা প্রবাসী আয়ে লেনদেন হয়েছে আগের দরে। নতুন দর নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা মিলেছে ব্যাংক লেনদেন শেষ হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে।
এদিকে অভিন্ন দর কার্যকর হলে খরচ কিছুটা বাড়লেও নৈরাজ্য বন্ধ হবে বলে মনে করেন আমদানিকারকরা। আর ব্যাংকাররা জানান, ব্যাংকগুলোতে সরবরাহ বেড়ে আন্তঃব্যাংক কার্যকর হলে অসাধু চক্রের কারসাজি বন্ধ হবে।
এবিবি চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ডলারের যে নতুন বিনিময় হার বেঁধে দেয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়ন হতে দুই-একদিন সময় লাগবে।
এদিকে ব্যাংকগুলোতে ডলারের দাম নিয়ে নৈরাজ্য বন্ধে নতুন সিদ্ধান্ত আসার পরও খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১৪ টাকায়।
এর আগে ডলার বাজারে অস্থিরতা নিরাসনে করণীয় নির্ধারণে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করে এবিবি ও বাফেদা। সিদ্ধান্ত হয়, বাজার পর্যালোচনা করে ডলারের দাম ঠিক করবে সংগঠন দুটি। ব্যাংকগুলো নিজেরাই এ দাম নির্ধারণ করবে। তারই অংশ হিসেবে রোববার নিজেরা সভা করে ডলারের দাম ঠিক করেন বাফেদা ও এবিবির নেতারা।