মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন সম্প্রতি বলেছেন, ‘পাকিস্তান একটি বিপজ্জনক রাষ্ট্র’। বিপজ্জনক বললেও তিনি পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র’ বলেননি। যতই হোক না কেন, বলেছেন তো। আর সেটাও বলেছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একটি পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হয়েও পাকিস্তান কখনোই দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করেনি। এমনকি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও এ ঘটনায় ভয়ংকর খেপে গেছেন। এই সুযোগে তাঁর নিজের রাজনৈতিক তাসটি ব্যবহার করার জন্য তিনি আরো জোরালো কণ্ঠে আমেরিকার বিরোধিতা শুরু করেছেন। আবার আমেরিকার মুখপাত্র বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এই বক্তব্যকে তাঁর ব্যক্তিগত মন্তব্য বলে মনে করেন তাঁরা। কেননা হোয়াইট হাউস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। সরকারিভাবে যে এটি একটি গৃহীত বিবৃতি বা সিদ্ধান্ত, এমনভাবে বিষয়টি দেখা হচ্ছে না। অর্থাৎ পাকিস্তানের রোষটাকেও ঠাণ্ডা করার চেষ্টা করেছে আমেরিকা।
লক্ষণীয় বিষয় হলো, আমেরিকা পাকিস্তানকে বিপজ্জনক বললেও ভারত কিন্তু আহ্লাদে আটখানা হয়ে বাইডেনকে বিরাটভাবে স্বাগত জানিয়ে অনেক কথা বলতে শুরু করেছে এমন নয়। অর্থাৎ আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এই পাকিস্তানবিরোধী মন্তব্যে ভারত যে খুব গদগদ হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দিয়ে আমেরিকা সম্পর্কে চারটা ইতিবাচক মন্তব্য করবে, এমনটাও কিন্তু দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরও কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। বরং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে মনোভাব দেখাচ্ছে, সেটা হচ্ছে ‘ফলেন পরিচয়তে’। কেননা আমেরিকা যদি সত্যি সত্যিই পাকিস্তান সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব নিত, তাহলে F-16 নামের অস্ত্রটি পাকিস্তানকে শুধু দেওয়া নয়, তাকে আরো আধুনিক করে দেওয়ার দায়িত্বটা আমেরিকা গ্রহণ করত না। জয়শঙ্কর বলেছিলেন, আমেরিকা পাকিস্তানকে অস্ত্র দিচ্ছে বলেই প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে ভারতকে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীলতা রাখতে হচ্ছে। তার কারণ এটা ভারতের আত্মরক্ষার তাগিদে ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট ফরেন পলিসি’।
ভারত মনে করে, আমেরিকা সব সময়ই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে চায়। আংকল শ্যাম সব সময় চান একটা পাকিস্তান থাকুক। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই যে বিরোধ, আবার এই যে সমন্বয়—দুটিই একসঙ্গে চলতে থাকুক। একদিকে ভারত-পাকিস্তানের ঝগড়া হবে, আমেরিকা সেই ঝগড়া মেটানোর কথা বলবে এবং দুই পক্ষকেই শান্তির পথে থাকতে পরামর্শ দেবে। আবার পাকিস্তানে আমেরিকার অস্ত্র বিক্রিও চলবে। প্রতিরক্ষা বাবদ অনেক টাকার অস্ত্র পাকিস্তানকে কিনতে হয়।
কয়েক দিন আগে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল বাজওয়া তাঁর অবসরগ্রহণের আগে আমেরিকা ঘুরে এলেন। সেখানে তাঁকে রেড কার্পেট স্বাগত জানানো হলো। আমেরিকান প্রতিরক্ষাসচিব তাঁর সঙ্গে বৈঠক করলেন। আশা করা যাচ্ছে, আমেরিকার দৌত্যে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার থেকেও এবারে পাকিস্তান ঋণ পাবে তাদের আর্থিক সংকট মেটানোর জন্য। কাজেই পাকিস্তান যেমন আমেরিকার কাছ থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পায় এই সমরসজ্জার জন্য, আবার তারাও অনেক অর্থ আমেরিকাকে দিয়েছে অস্ত্র কিনে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গেও আমেরিকার একটা পুরনো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে ঠাণ্ডাযুদ্ধের সময় থেকে এই সম্পর্কটা দ্রুত তৈরি হয়েছে। আফগানিস্তানের যুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে আমেরিকা কিভাবে ন্যাটোর মিত্র হিসেবে গড়ে তোলে সেটাও আমরা দেখেছি। তাই এই আংকল শ্যাম চান ভারত আর পাকিস্তানের দূরত্বটা বজায় থাকুক। অবশ্য চীনের প্রতাপ বাড়তে শুরু করায় চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের অক্ষ যত ঘনিষ্ঠ হয়েছে, আমেরিকার কাছে শক্তিশালী ভারতের প্রয়োজনটাও তত বেড়েছে। তাই পাকিস্তান যদি ধ্বংসও হয়ে যায়, তাহলে ভারতকে চাপে রাখার জন্য হয়তো অন্য কোনো একটা দেশকে আমেরিকা পাকিস্তান বানিয়ে তুলবে। এই দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতকে চাপে রাখার জন্য ভারতকে তোলা দিতে হবে। এই রণকৌশল দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকা ব্যবহার করেছে। আজ চীনের সম্প্রসারণবাদী মনোভাব বেড়ে যাওয়ার ফলে এখন হয়তো আগের রণকৌশলকেও অনেক বদলাতে হয়েছে আমেরিকাকে। আগে ঠিক যেভাবে পাকিস্তানকে চাপে রাখার জন্য ভারতকে এবং ভারতকে চাপে রাখার জন্য পাকিস্তানকে প্রয়োজন হতো আমেরিকার, তার কূটনৈতিক প্রাসঙ্গিকতাটা এখন অনেক কমেছে।
আমেরিকার অতীতের কাহিনি একটু বলি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তখন লিন্ডন বি জনসন। তাঁর সময় তিনি যেমন ভারতকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন, আবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও ভারতকে কাজে লাগিয়েছিলেন। ভারত ও চীনের মধ্যে একটা ভারসাম্য তৈরি করার কূটনৈতিক রণকৌশল জনসনের আমলে গৃহীত হয়েছিল। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের ওপর জনসন খুব বিরক্ত হন। কারণ তিনি তাঁর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটা মীমাংসার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু চীনের সম্পর্কটার জন্য জনসনের বিরক্তি। যখন তিনি দেখেন যে পাকিস্তানের মনোভাব আলাদা, তিনি এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন যে তখন পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামরিক সাহায্য তিনি বন্ধও করে দিয়েছিলেন। মূল প্রশ্নটা ছিল এই যে তিনি ভারত ও পাকিস্তানকে সমতুল্য কেন ভাবলেন? এই দুটি দেশকে একইভাবে দেখা হলো কেন? আমেরিকার প্রশাসনকে ভারত এ কথাটা তখন বলেছিল। ভারতে কর্মরত তৎকালীন আমেরিকার রাষ্ট্রদূত চেস্টার বাওলাস, তিনিও এই প্রশ্নটা তুলেছিলেন হোয়াইট হাউসে। তখন তো চিঠি চালাচালি হতো। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাছে এই প্রশ্নটা তুলেছিলেন যে ভারত বারবার বলছে, পাকিস্তানের থেকে পাঁচ গুণ বড় ভারত। জনসংখ্যায় বড়, আয়তনে বড়। তাহলে দক্ষিণ এশিয়ার যারা এক্সপার্ট, তারা মনে করছে, ভারত ও পাকিস্তানকে একভাবে দেখাটা ঠিক নয়। তা সত্ত্বেও কেন আমেরিকা এমনটা করছে?
আসলে জনসন কখনো তাঁর উত্তরসূরি নিক্সনের মতো ভারতবিরোধী ছিলেন না। আবার প্রেসিডেন্ট কেনেডির মতো তিনি ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার মতো রাষ্ট্রপতিও ছিলেন না। জনসনের লক্ষ্য ছিল একটা নিরপেক্ষ সম্পর্ক এবং একটা কার্যকর সম্পর্ক গড়ে তোলা, যেখানে মার্কিন স্বার্থটা দেখতে হবে সবচেয়ে আগে। ভারতের সঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়নের সম্পর্কটা ক্রমবর্ধমান ছিল। তিনি সেটা জানতেন এবং সেটা বুঝতেও পারছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন, ভারতকে অন্তত এই কমিউনিস্ট চীনের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা এবং দিল্লিকে নানাভাবে সাহায্য করে যাওয়া। সেই কারণে ভারত ও পাকিস্তান সম্পর্কে তিনি একটা নিরপেক্ষ মনোভাব দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিটা ছিল এমন, একদিকে ভারত কমিউনিস্টবিরোধী না হোক, আবার যেন ভারত পুরোপুরি কমিউনিস্ট মনোভাবাপন্নও না হয়ে ওঠে।
আমেরিকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত তখন বি কে নেহরু। তিনি বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট জনসন আমেরিকা ও পশ্চিমী দুনিয়ার মতো ভারত ও পাকিস্তান সম্পর্কে আগ্রহী ছিলেন। আমেরিকার স্বার্থ অনুযায়ী তিনি ভারতকে দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে মনে করেছিলেন। আমেরিকার থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতা বেশি থাকা সত্ত্বেও ভারত যাতে অ্যান্টি-আমেরিকা না হয় তার জন্য জনসন চেষ্টা করেছিলেন। জনসন আইয়ুব খানকে পছন্দ করতেন। কিন্তু আইয়ুব খানের সঙ্গেও তাঁর প্রচুর গোলমাল বেধেছিল। জনসন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবেও আইয়ুব খানকে এই মহোৎসবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ১৯৬১ সালে টেক্সাসে যখন আইয়ুব খান এসেছিলেন তখন তাঁদের দুজনের মধ্যে একটা সুন্দর সম্পর্কও গড়ে উঠেছিল। আইয়ুব খান তখন জনসনের ভাষায়ই কথা বলতেন। তাঁর দুই সহকর্মী কোম্যার ও ব্র্যান্ড্তি ভারতের বন্ধু ছিলেন বলে অনেক সময় আইয়ুব খান তাঁদের নিয়ে একটুখানি ঠাট্টা-তামাশাও করতেন। খুব সহজ একটা সম্পর্ক আমরা সেই সময়কার নথি থেকে দেখতে পাই। এমনকি ইন্দিরা গান্ধীকে বন্ধু হিসেবে অনেক সময় আইয়ুব খান উল্লেখ করেছিলেন। ১৯৬৬ সালের মার্চ মাসে যখন ইন্দিরা গান্ধী আমেরিকায় এসেছিলেন তখনো জনসন ইন্দিরা গান্ধীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এ রকম একটা পরিস্থিতিতে আমেরিকার সঙ্গে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কটা দ্রুত এগিয়েছিল। ক্রমেই দেখা গেল, পাকিস্তান আরো বেশি বেশি করে অর্থনৈতিক সংকটের চোরাবালিতে ডুবছে আর বেশি বেশি করে ভারতবিরোধী হচ্ছে। আমেরিকাও তার দুমুখো রণকৌশলটা আরো বাড়িয়ে দিল। সেটা করতে করতে আজ এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে।
ভারত এখন পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র বলে ঘোঘণা করার দাবি জানাচ্ছে। ক্লিনটন থেকে বুশ, ওবামা থেকে ট্রাম্প, এমনকি বাইডেনকেও এখন এ ব্যাপারে চাপ দেওয়া হচ্ছে। দাউদ ইব্রাহিমকে আমেরিকা যদি টেররিস্ট বলে ঘোষণা করতে পারে, তাহলে পাকিস্তানকে টেররিস্ট স্টেট হিসেবে ঘোষণা করা হবে না কেন? এই দাবি জাতিসংঘ অবধি গেছে। তার ফলে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে একটা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আবহ তৈরি করতে চাইলেও পাকিস্তান, কাশ্মীর এবং সন্ত্রাস—এই ব্যাপারে তাদের মনোভাবের কোনো পরিবর্তন করছে এমনটা ভারত এখনো মনে করছে না। সেই কারণে ভারত-পাকিস্তানের আলাপ-আলোচনার আখ্যানটাকে মোদি বন্ধ করে রেখেছেন। কত দিন বন্ধ রাখবেন জানি না। তবে আমেরিকা কেন পাকিস্তানকে বিপজ্জনক বলল সেই বিষয়টা নিয়েও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্দরমহলে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেই আলোচনা বলছে, আমেরিকা পাকিস্তানকে সঙ্গে রাখতে চাইছে, খুশি করতে চাইছে। পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের দূরত্ব বাড়াতে চাইছে। আফগানিস্তানের তালেবান শক্তি এবং পাকিস্তানের ভেতরের যে জঙ্গি কার্যকলাপ, সেই মৌলবাদীদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পাকিস্তান আমেরিকাকে সাহায্য করবে—এই গ্যারান্টিটাও আমেরিকার কাছে খুব জরুরি। এদিকে ফ্রান্সের প্যারিসে এফএটিএফের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন শেষে ধূসর বা ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা থেকে পাকিস্তানকে বাদ দিয়েছে অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ফিন্যানশিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্স, এফএটিএফ। সন্ত্রাসে অর্থ জোগানোর অভিযোগে ২০১৮ সাল থেকে ধূসর তালিকায় ছিল। ওই অধিবেশনে ভারতও ছিল। স্বাভাবিকভাবেই তারা এই সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেনি।
চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তির পরিপ্রেক্ষিতে এই অঞ্চলে ভারতকেও বিশেষভাবে প্রয়োজন আমেরিকার। সেই কারণে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কোনোভাবে নষ্ট করা যাবে না। তাই জয়শঙ্করের যে প্রতিক্রিয়া ভারত জানিয়েছিল তার জন্যই বাইডেন ব্যক্তিগতভাবে পাকিস্তান সম্পর্কে একটি মন্তব্য করে ভারতকে খুশি করার চেষ্টা করেছে, যাতে ভারতের দিক থেকে অন্তত আমেরিকার প্রতি অসন্তোষটা আরো তীব্র না হয়। ভারত যাতে রাশিয়া ও চীনের দিকে আরো বেশি করে না ঝোঁকে। অর্থাৎ সবটাই হচ্ছে ভারসাম্য রক্ষার খেলা। এই ভারসাম্য রক্ষার খেলায় বাংলাদেশও একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এই মুহূর্তে পালন করছে। ভারত-বাংলাদেশ একটি অক্ষ। সেই অক্ষ ভারত, চীন ও পাকিস্তানের অক্ষের বদলে আরো জোরালোভাবে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায়, বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পররাষ্ট্রনীতিতে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।
লেখক : নয়াদিল্লিতে কালের কণ্ঠের