পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের দিকে আরও এগিয়ে এসেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার ভোরে এটি পটুয়াখালীর কলাপাড়া (খেপুপাড়া) দিয়ে বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূল পার হতে পারে। এ সময় ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার।
ঢাকা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সোমবার সকালে তিনি বলেন, ‘এটা এখনো ঘূর্ণিঝড় অবস্থায়ই আছে। আমাদের হাতে এখনো ২০ ঘণ্টা থেকে ২৪ ঘণ্টা সময় আছে। উপকূল অতিক্রম করার সময় সিত্রাংয়ের গতিবেগ ১০০ কিলোমিটার থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন আমরা ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলেছি। একই সঙ্গে নৌ বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে দেশের প্রায় সব জেলা-উপজেলাতে বেড়েছে বৃষ্টি।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৮ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।