পাকিস্তানে খেলে আসা টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এ সিরিজে ব্যাটসম্যানদের নামার পজিশন, টস জিতে ব্যাটিং নেওয়াসহ দলের ভেতরের নানা সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি তার।
এসব বিষয় নিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি। এবার বসবেন কোচের সঙ্গে।
আজ বুধবার বিকেলে নিজের অফিস বেক্সিমকোতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পাপন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সংকট নিয়ে আসলে এটা বলা মুশকিল। সেজন্য বলেছি আমার কোচের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচের পর আমি কথা বলেছি, তারা কেউ বলেনি কোচ সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ওরাও বেশি বলে না। তাহলে আমাকে এখন কোচকে জিজ্ঞেস করতে হবে। কে সিদ্ধান্তগুলো দিচ্ছিল।’
ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য দলের সঙ্গে পাকিস্তানে ছিলেন পাপন। কিন্তু দল শুধু দিয়েছে হতাশা। প্রথম ম্যাচে পাঁচ উইকেটে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে হারে ৯ উইকেটে। শেষ ম্যাচটি বাতিল হয় বৃষ্টির কারণে। দেশে ফিরেই ব্যস্ততার কারণে এ বিষয়ে কথা বলতে পারেননি বিসিবি সভাপতি। তাই আজ নিজের অফিসে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে কথা বলেন তিনি।
রিয়াদদের সঙ্গে কথা বলা নিয়ে পাপন বলেন, ‘কয়েকটা প্রশ্ন আমার কাছে আছে। ক্যাপ্টেন রিয়াদ, তামিম- ওদের সঙ্গে বসেছিলাম। প্রথম ম্যাচের পরেই আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ব্যাটিং নিলাম কেন? এত বছর পর পাকিস্তানে আসলাম, তো ব্যাটিং নিলাম কেন? আমরা সাধারণত আগের খেলাগুলোতে যা দেখেছি চেজের টার্গেট টা জানি। এখানে তো টার্গেট টা জানি না। ওরা বলছিল, এটা ব্যাটিং পিচ। কিন্তু খেলা দেখে মনে হয়নি খুব ভালো পিচ। খুব ভালো পিচ হলে যেমন খেলা হবার কথা, সেটার সাথে কিন্তু খেলার ধরনটা মেলেনি।’
টসে জিতে প্রথম দুই ম্যাচেই ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেই বড় রান করতে ব্যর্থ হয় দল। বিব্রতকর ব্যাটিংয়ে প্রথম ম্যাচে ১৪১ রানের পর দ্বিতীয় ম্যাচে করে ১৩৬ রান। টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার কোনো সঠিক জবাব ছিল না ক্রিকেটারদের কাছে। এ ছাড়া মেহেদী হাসানকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে তিন নম্বরে। মেহেদীও ব্যর্থ হন। পাপনের মতে দলের ব্যাটিং পজিশনও ঠিক ছিল না।
বিসিবি সভাপতির প্রশ্ন হলো সিদ্ধান্তগুলো কে নিচ্ছে? এটাই জানতে চান তিনি। ‘ডিসিশন কে নিচ্ছে, কেন নিচ্ছে- এটা একটা বিষয়। যেটা আমি মনে করেছি যে এটা নিয়ে আলাপ করার দরকার আছে’-বলছিলেন পাপন।
পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা দেখে বিসিবি সভাপতির কাছে মনে হয়েছে এটা বাংলাদেশের খেলা না। তার ভাষায়, ‘অনেকদিন পর বাংলাদেশের খেলা দেখে মনে হয়েছে এটা বাংলাদেশের খেলা না। আমার কাছে মনে হয়নি যে বাংলাদেশ দল খেলছিল। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। টি-টোয়েন্টিতে সাধারণত আমরা যেভাবে খেলি তার সম্পূর্ণ উল্টো মনে হয়েছে আমার কাছে। ওরকম কোনো লক্ষ্য দেখিনি। এর আগে এরকম কোনো সিচুয়েশন দেখিনি যে ৯৬ ফর নো লস থেকেও আমরা রান করতে পারছি না, এতো ডিফেন্সিভ অ্যাপ্রোচে খেলছি। এটা সত্যিই একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা।’