যেকোনো ধরণের বাধা-বিপত্তি, পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, সকাল থেকে আমরা শুনেছি কয়েকটি কেন্দ্রে আমাদের পোলিং এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। সেটার ব্যবস্থা আমরা অবশ্যই নিব। আমরা ম্যাজিস্ট্রেটদের অবহিত করেছি। আমি ভোট দিয়েছি। প্রয়োজনে এখন সরাসরি আমি কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে পরিদর্শন করবো। যেখানেই ভোট কেন্দ্র দখলের পায়তারার অভিযোগ আসবে আমরা তার ব্যাবস্থা নিবো।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৮নং ওয়ার্ডের শহীদ শাহজাহান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তার সাথে তার ছোটভাই ইসফাক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ইশরাক বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে বলে দিতে চাই কোন কিছু আমাকে আটকাতে পারবে না। আমি আজকে আল্লাহর নাম নিয়ে আমার বাবাকে স্মরণ করে বাসা থেকে বের হয়েছি। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। যেকোনো ধরনের বাধা-বিপত্তি, পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আমি সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আজকে যদি আমাকে হামলার শিকার হতে হয়, আহত হতে হয়, আহত হবো- কিন্তু ভোটকেন্দ্র দখলমুক্ত করা এবং ভোটারদেরকে নিরাপদে ভোট দেয়ার জন্য যা যা করণীয়, আমি আজকে করবো। এটাতে আমি আজকে কোন ধরণের ছাড় দেবো না।
ইভিএম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইশরাক বলেন, ইভিএমে প্রথমবার আমি আমার ভোট সম্পন্ন করেছি। এমন নয় যে, আমরা যে আশঙ্কাগুলো করে আসছিলাম সেইগুলো নেই। এখানে ত্রুটিযুক্ত প্রোগ্রামিং করা হয়ে থাকতে পারে, যাতে পক্ষপাতিত্বমূলক ভোট হতে পারে। এটা আসলে পরবর্তীতে বোঝা যাবে কি হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষে যে সাধারণ কাউন্সিল এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন, তাদেরকে ভোট দিয়েছি।
ইশরাক বলেন, শুক্রবার রাত থেকে আমরা কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর পেয়ে পেয়েছিলাম। আমাদের মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। আপনাদের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে চাই, আমাদের মনিটরিং সেলগুলোতে সারাদিন যে কেউ অভিযোগ দিতে পারবে। তিনি বলেন, শুক্রবার রাতেই বিভিন্ন কেন্দ্রে সিসিটিভি কানেকশন কেটে দেয়া হয়েছে বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সেগুলোর কিছু ভিডিও ফুটেজ আমরা মিডিয়াকর্মীদের কাছে শেয়ার করেছি।
ইশরাক বলেন, বংশালে ৩৪নং ওয়ার্ডে একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে আমাদের কাউন্সিলর প্রার্থী ইছাক সরকার। ওখানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থকরা কেন্দ্রে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিল এবং কোনো-না-কোনোভাবে চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা করছিল। সেখানে আমাদের একজন কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে এলাকাবাসী এটা জানতে পেরে সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তদের সেখান থেকে বিতাড়িত করে। এটাকে আমি বলব, জনগণের একটা বিজয় হয়েছে। এভাবে আমরা বিভিন্ন কেন্দ্রগুলোতে ভোটকেন্দ্রে পাহারা দিতে পারি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেছেন ভোট কেন্দ্র দখল করার কথা। তার আরও সংযত ভাষায় কথা বলা দরকার ছিল বলে আমি মনে করি। কারণ এই ধরনের উস্কানিমূলক কথাবার্তা সংঘাতের আশঙ্কা বাড়াতে পারে।
এর আগে শনিবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ভোট দেয়ার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রে যান বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী।