করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত চীনের হুবেই প্রদেশে ৩০ কোটিরও বেশি মুরগি মৃত্যুর পথে রয়েছে। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সেখানে মহামারী আকার ধারণ করার পর অঞ্চলটির সাথে ইতোমধ্যেই চীনের অন্যান্য শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। ফলে প্রাণীদের খাবার সরবরাহ ব্যবস্থাও বন্ধ হয়েছে। এতে করেই বিপন্ন হয়ে পড়েছে বিপুলসংখ্যক মুরগি।
ইতোমধ্যেই স্থানীয় পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন সরকারের কাছে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজনীয় প্রাণী খাদ্য সরবরাহের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনও কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
চীনের ৩১টি প্রদেশের সবগুলোতে এবং বিশ্বের অন্তত ১৮টি দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ভাইরাস সংক্রমণের কারণে চীন ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে বেশ কিছু দেশ।
সম্প্রতি করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করলে উহান শহরে সাধারণ মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ ও যোগাযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কর্তৃপক্ষ। ফলে কার্যত হুবেই প্রদেশ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে পণ্যসামগ্রীর বাজারগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই অঞ্চলটিতে অপরিশোধিত সয়াবিনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
প্রাদেশিক সরকারের কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ সপ্তাহেই শেষ হবে হুবেই প্রদেশের অধিকাংশ খামারের প্রাণীদের খাদ্য। প্রদেশটিতে প্রাণী খাদ্যের জন্য প্রতিদিন ১৮০০ টন শস্য ও ১২০০ টন সয়ামিল প্রস্তুত হয়। সে হিসাবে ইতোমধ্যেই সেখানে এ ধরনের ছয় লাখ টন খাদ্যের ঘাটতি দেখা দেয়ার কথা।
চীনের অ্যানিমেল অ্যাগ্রিকালচার অ্যাসোসিয়েশনের (সিএএএ) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিএএএ দ্রুততার সঙ্গে দেশের খাদ্য উৎপাদনকারীদের ১৮ হাজার টন শস্য ও ১২ হাজার সয়ামিল হুবেইতে পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে।
হুবেই হচ্ছে চীনের ষষ্ঠ বৃহৎ পোলট্রি উৎপাদনকারী প্রদেশ। দেশটির বার্ষিক ডিম উৎপাদনের ৫ শতাংশই আসে এই প্রদেশ থেকে। ৩ ফেব্রুয়ারি চীন এ সংক্রান্ত বাণিজ্য পুনরায় শুরু করার পর ডিমের ভবিষ্যৎ দাম নির্ধারণ করবে চীনের দালিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জ।
ব্লুমবার্গ