যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লাইট বিপর্যয়ের প্রকৃত কারণ জানতে চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দেশটির কেন্দ্রীয় পরিবহনমন্ত্রী পিট বুটিগিগকে ইতোমধ্যে কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার সকালে হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাইডেন।
বাইডেন বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত বিপর্যয়ের সঠিক কারণ জানা যাবে।’
ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় কারিগরি ত্রুটির কারণে গত মঙ্গলবার থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ৫ হাজার ৮শ’রও বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে এবং বাতিল হয়েছে ৮শ’রও বেশি ফ্লাইট।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন , নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় ত্রুটির কারণে বৈমানিকেরা বার্তা পাচ্ছিলেন যে ফ্লাইট রুটে বিপদের ঝুঁকি রয়েছে। এয়ার মিশন সিস্টেমে তাদের পাঠানো নোটিশ ছিল এই সমস্যার উৎস।
ফলে ডেনভার- আটলান্টা- নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সব বিমানবন্দরের বিঘ্নিত হয় বিভিন্ন ফ্লাইটের উড়াল। সেই সঙ্গে বিমানবন্দরগুলোতে যাত্রীদের ভিড় বেড়ে যায়। ফ্লাইট ছাড়তে দেরি হওয়ার তথ্য জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টও দিতে শুরু করেন অনেক যাত্রী।
তবে বুধবার সকাল ৯টা থেকে ধীরে ধীরে ফের স্বাভাবিক হওয়া শুরু করে ফ্লাইট চলাচল। এফএএর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফ্লাইট চলাচল বন্ধের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা তুলে নেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে ফ্লাইট চলাচল পরিস্থিতি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনুমান, এফএএ’র ওয়েবসাইটে সাইবার হামলার হওয়াই এই বিপর্যয়ের মূল কারণ। এই অনুমান সঠিক কি না, নিশ্চিত হতে সংবাদ সম্মেলনে বাইডেনকে প্রশ্নও করেন একাধিক সাংবাদিক।
হোয়াইট হাইস বলেছে, সাইবার হামলার কারণে এমনটি হয়েছে, তার কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। বাইডেন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি সত্যিই জানি না, ঠিক কী কারণে এত বড় বিপর্যয় ঘটল। এ কারণেই বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করি, (প্রকৃত কারণ) আমরা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জানতে পারব।’