মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেলওয়্যার রাজ্যের বাড়িতে ‘অল্প কয়েকটি’ গোপন ফাইল পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস। একইসাথে ফাইলগুলো বিচার বিভাগের কাছে হস্তান্তর করার কথাও স্বীকার করা হয়েছে। বিরোধী রিপাবলিকানরা বাইডেনের বাড়িতে গোপন ফাইল পাওয়ার ঘটনাকে বড় ধরনের একটি ইস্যুতে পরিণত করতে চাইছে। এর আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাসায় গোপন ফাইল পাওয়ার বিষয়টি বেশ তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল।
হোয়াইট হাউসের বিশেষ আইন কর্মকর্তা রিচার্ড সবার বৃহস্পতিবার বলেন, বাইডেনের ডেলওয়ার রাজ্যের বাড়ির গ্যারেজে যেসব গোপন ফাইল পাওয়া গেছে, সেগুলো তিনি যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখনকার।
গ্যারেজের পাশে থাকা একটি কক্ষ থেকে এক পৃষ্ঠার একটি অতিরিক্ত নথিও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ডেলওয়্যারের রেহোবোথ বিচে জো ও জিল বাইডেনের দ্বিতীয় বাসায় কোনো নথি পাওয়া যায়নি।
সবার বলেন, বাইডেন প্রশাসন নথিপত্রগুলো উদ্ধারে এবং যথাযথভাবে হস্তান্তরে ‘পূর্ণ সহযোগিতা’ করছে।
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি মেরিল্যান্ডের সাবেক ইউএস অ্যাটর্নি রবাট হারকে স্পর্শকাতর সরকারি নথিপত্র বাইডেন কিভাবে ব্যবস্থাপনা করেন, তা তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
রিপাবলিকানরা দাবি করছে, বাইডেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথিপত্রগুলো গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস করে দিতে পারে। আর যে বাইডেন তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গোপন নথিপত্র যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনা না করার অভিযোগ করতেন, তিনি একই কাজ করায় তা তার ভণ্ডামির বিষয়টিই প্রকাশ করছে।
বিচার বিভাগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গোপন নথিপত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তদন্ত করছে। তবে দুজনের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। বাইডেন যেখানে সহযোগিতা করছেন, সেখানে ট্রাম্পের কাছ থেকে নথিপত্রগুলো উদ্ধারের জন্য শমন পাঠানোর দরকার হয়েছিল। তাছাড়া বাইডেনের বাড়িতে অল্প কয়েকটি নথি পাওয়া গেছে। আর ট্রাম্প গত বছরের জানুয়ারিতে ১৫ বাক্স নথিপত্র হস্তান্তর করেছিলেন।
সূত্র : আল জাজিরা