রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন

ভোগান্তি কমাতে শুরু ওয়ান স্টপ সার্ভিস

বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১০০ বার

ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন থেকে শুরু করে প্রতিটি ধাপেই ভোগান্তির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ ভোগান্তি কমাতে একই দিন পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিকস (ছবি ও আঙুলের ছাপ) সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। আজ থেকে রাজধানী ঢাকায় এ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়েও এটি চালু হবে।

বিআরটিএ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ঢাকা মেট্রো-১ সার্কেল (পরীক্ষাকেন্দ্র জোয়ারসাহারা), ঢাকা মেট্রো-২ সার্কেল (পরীক্ষাকেন্দ্র-ইকুরিয়া), ঢাকা মেট্রো-৩ সার্কেল (পরীক্ষা কেন্দ্র-দিয়াবাড়ী, উত্তরা) ও ঢাকা জেলা সার্কেলে (পরীক্ষাকেন্দ্র-ইকুরিয়া) পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিকস একই দিন অনুষ্ঠিত হবে। তাই পরীক্ষাকেন্দ্রে সকাল ৯টার এক ঘণ্টা আগে অর্থাৎ সকাল ৮টায় উপস্থিত হতে সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।

ড্রাইভিং লাইসেন্সের আগে লার্নার বা শিক্ষানবিশ লাইসেন্স প্রদান করা হয়। আবেদনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণি পাশ। অপেশাদার শ্রেণির লাইসেন্সের জন্য ১৮ এবং পেশাদারের জন্য অন্তত ২১ বছর বয়স হতে হবে। অনলাইনে বিআরটিএর ওয়েবসাইট থেকে লার্নার লাইসেন্স ইস্যু করে প্রিন্ট নিতে হয়। এরপর নির্ধারিত তারিখে লিখিত, মৌখিক ও মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ধার্যকৃত ফি পরিশোধ সাপেক্ষে ঢাকার লাইসেন্সপ্রার্থীরা মিরপুর ১২ নম্বরে গিয়ে বায়োমেট্রিকস প্রদান করেন। এসব পরীক্ষা ও আনুষ্ঠানিকতা ধাপে ধাপে সম্পন্ন হয়।

এসব ভোগান্তি দূর করতে একই দিন পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিকস নেওয়া হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রথমেই বায়োমেট্রিকস সম্পন্ন করতে হবে। ড্রাইভিং পরীক্ষার ফল মুঠোফোনে এসএমএসের মাধ্যমে পাওয়া যাবে বিকালে। পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে নতুন তারিখ মিলবে অনলাইনে। আর উত্তীর্ণ হলে লাইসেন্স প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে লাইসেন্স-গ্রহীতাকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর লাইসেন্স গ্রহীতার ঠিকানায় ডাক বিভাগের মাধ্যমে লাইসেন্স পৌঁছে দেবে বিআরটিএ। এ জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ টাকা।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এবং দালালদের দৌরাত্ম্য দূর করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোনো কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না পৌঁছে গেলে বিআরটিএ ওয়েবসাইট থেকে কপি সংগ্রহ করা যাবে। সেটাতে বারকোড থাকবে, ফলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাও এর যথার্থতা চিহ্নিত করতে পারবে।

জানা গেছে, পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য প্রার্থীকে প্রথমে হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে। এর তিন বছর পর পেশাদার মিডিয়াম ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যাবে। মিডিয়াম ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির তিন বছর পর ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যাবে। পেশাদার লাইসেন্সের জন্য ১৬৭৯ টাকা ও অপেশাদারের ক্ষেত্রে ২৫৪২ টাকা জমা দিতে হবে। তার আগে শিক্ষানবিশ লাইসেন্সের জন্য এক ক্যাটাগরি হলে ৩৪৫ টাকা ও দুই ক্যাটাগরি হলে ৫১৮ টাকা অনলাইনে পরিশোধ করা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com