১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের ভূমিকা রহস্যজনক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, আজ পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় ড. কামালের ভূমিকা কী ছিল। তার অবস্থান ছিল রহস্যজনক। তিনি আজকের বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্য মেনে নিতে পারছেন না।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী একথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার বিকেলে এই অধিবেশন শুরু হয়।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, দেশের একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ড. কামাল। তিনি গত পরশু যে কথা বলেছেন, তাতে গোটা জাতির মতোই আমিও হতবাক হয়েছি, আশ্চর্য হয়েছি। অনেকে বলেন, তিনি সংবিধানের প্রণেতা। বাস্তবে যাই হোক, তিনি ওই সময় আইনমন্ত্রী ছিলেন। সংবিধান প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। সে জন্য তিনি কৃতিত্বের অধিকারী হতে পারেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময় তার অবস্থান ছিল রহস্যজনক। তার পরশু দিনের কথায় মনে হয়েছে, বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে মানার বিষয়ে তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।
উল্লেখ্য, শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাবরণের দুই বছর পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় ড. কামাল হোসেন সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন। তিনি বলেন, সরকার পদত্যাগ করতে না চাইলে লাথি মেরে তাদের সরিয়ে দিতে হবে।
একজন সংবিধান প্রণেতা হিসেবে ড. কামাল এমন বক্তব্য রাখতে পারেন না উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক বলেন, একজন সংবিধান প্রণেতা হলেও তিনি নিশ্চয় সরকারের বিরোধিতা করতে পারেন, সরকার পতনের দাবিও করতে পারেন। এটা তার মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু তিনি যে শব্দ ব্যবহার করেছেন, সংসদে যেহেতু তার জবাব দেয়ার সুযোগ নেই, তাই তার ভাষার নিন্দা করা ছাড়া বেশি কিছু বলব না।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রচলনের দাবিও জানান মন্ত্রী মোজাম্মেল হক। ইউনেস্কো থেকে যেসব আন্তর্জাতিক পুরস্কার দেয়া হয়, সেখানেও বঙ্গবন্ধুর নামে একটি পুরস্কার প্রচলনের প্রস্তাব দেন তিনি। এজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।