ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি গত ৮ জানুয়ারি যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তাতে আহত মার্কিন সেনার সর্বশেষ সংখ্যা ১০০’র বেশি বলে জানা গেছে। এসব সেনার সবাই ব্রেইন ইনজুরিতে ভুগছে।
মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন এবং রয়টার্সসহ পশ্চিমা অনেক গণমাধ্যম এ খবর দিয়েছে। এসব গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে- এ পর্যন্ত ১০০’র বেশি মার্কিন সেনাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আমেরিকার এমন একজন সরকারি কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন যিনি এ সম্পর্কে বিশেষ খবর রাখেন।
৮ জানুয়ারি হামলার পর মার্কিন সেনা সদরদপ্তর পেন্টাগন এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ইরানে হামলায় কোনো সেনা আহত কিংবা নিহত হয়নি। কিন্তু কিছু দিন পর প্রথমে ১১ জন সেনা আহত হওয়ার কথা স্বীকার করা হয়। তারপর ৩৪ জন এরপর ৫০ জনের কথা স্বীকার করা হয় এবং এখন বলা হচ্ছে ব্রেইন ইনজুরিতে ভুগছে ১০০’র বেশি সেনা।
সিএনএন বলছে, পেন্টাগনের কয়েকজন কর্মকর্তা গত মাসে জানিয়েছিলেন যে, ব্রেইন ইনজুরিতে ভোগা সেনার সংখ্যা বেড়েই চলতে পারে কারণ ইরানি হামলার সময় আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে ২০০ সেনা অবস্থান করছিল। এসব সেনার কিছু ইউরোপে এবং কিছু আমেরিকায় ফেরত নেয়া হয়েছে।
গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ব্রেইন ইনজুরিকে তিনি মারাত্মক কোনো শারীরিক ক্ষত বা আঘাত বলে মনে করেন না। সে সময় তিনি ইরাকে মার্কিন সেনাদের গুরুতর আহত হওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এসমস্ত মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আমি নিজে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন সেনাদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন বিশেষ করে যারা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় ইরাকে ছিল এবং প্রেসিডেন্ট এখন সেনাদের আহত হওয়ার ধরণ সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।”
এদিকে, ট্রাম্পের এই লাগামহীন মন্তব্যের কারণে অবসরপ্রাপ্ত সেনাদের প্রভাবশালী সংগঠন ভিএফডাব্লিউ ট্রাম্পকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেছে। এ সংগঠনের কর্মকর্তা উইলিয়াম শ্মিৎজ বলেন, “আমরা আশা করি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাদের নারী ও পুরুষ সেনা সদস্যদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য ক্ষমা চাইবেন।” উইলিয়াম শ্মিৎজ মার্কিন সেনাদেরকে আমেরিকায় ফেরত আনার দাবি জানান। পার্সটুডে।