হংকংয়ে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে শত শত টয়লেট টিস্যু রোল চুরি করেছে ডাকাতরা যার বাজারমূল্য মাত্র ১৩০ ডলার। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে মানুষের অতিরিক্ত কেনাকাটার কারণে হংকংয়ে টয়লেট টিস্যুর সংকট তৈরি হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ছুরি হাতে কয়েকজন ব্যক্তি মং কক জেলায় একটি সুপারমার্কেটের বাইরে এক সরবরাহকারী ব্যক্তির কাছ থেকে এসব টয়লেট টিস্যু হাতিয়ে নেয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে এবং চুরি হওয়া টয়লেট টিস্যুর কয়েকটি উদ্ধার করেছে।
সোমবার সকালের দিকে মং কক জেলায় এই চুরির ঘটনা ঘটে। এই এলাকাটিতে “ট্রায়াড” বা সশস্ত্র গ্যাং থাকার ইতিহাস রয়েছে।
অ্যাপলের ডেইলি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৬০০ টয়লেট টিস্যুর রোল চুরি হয়েছে যার বাজারমূল্য ১ হাজার ৬৯৫ হংকং ডলার বা ২১৮ মার্কিন ডলার।
শহরটিতে টয়লেট টিস্যুর মজুদ ব্যাপক হারে কমে যাওয়ার কারণে নতুন সরবরাহ আসার সাথে সাথে তা নেয়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয় বাসিন্দাদের।
যদিও সরকার নিশ্চয়তা দিয়েছে যে, ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়নি তারপরও বাসিন্দারা টয়লেট টিস্যু জমা করে রাখতে শুরু করে।
অন্যান্য গৃহস্থালি সামগ্রীও আতঙ্কের কারণে ব্যাপক হারে বিক্রি হয়েছে যেমন চাল, পাস্তা এবং পরিষ্কারক দ্রব্য।
মুখে পড়ার মাস্ক এবং হাত পরিষ্কার করার দ্রব্য বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়াটা রীতিমত দুষ্কর হয়ে পড়েছে। কারণ মানুষ নিজেদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে এগুলো আগেই কিনে ফেলেছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৭০০ মানুষ মারা গেছে।
পুলিশের এক মুখপাত্র জানায়, “ছুরি হাতে নিয়ে তিন জন ব্যক্তি একজন সরবরাহকারী ব্যক্তিকে শাসিয়ে টয়লেট টিস্যুগুলো নিয়ে যায়।”
কর্তৃপক্ষ অস্বাভাবিক কেনাকাটার জন্য অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া গুজবকে দোষারোপ করছে এবং জানিয়েছে যে, খাদ্য এবং গৃহস্থালির পণ্যের সরবরাহ স্থিতিশীল রয়েছে।
এছাড়া সিঙ্গাপুরেও টয়লেট টিস্যু, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্কের মতো পণ্যগুলো অস্বাভাবিক হারে ক্রয়ের মুখে পড়েছে। দেশটিতে ৭৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিবিসি।