সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পর্নোতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুস দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হন। পরে মুক্তিও পেয়েছেন। গত মঙ্গলবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ম্যানহাটানের আদালতে শুনানি হয়। এদিন শুনানি চলার সময় কৌঁসুলিরা আরও এক নারীর নাম উল্লেখ করেন। সাবেক প্লেবয় মডেলের ওই নারীর নাম ম্যাকডুগাল। পর্নোতারকা ড্যানিয়েলসের মতো ট্রাম্পের সঙ্গে তারও সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। কে এই প্লেবয় মডেল? ট্রাম্পের সঙ্গে কিভাবে তার ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে? আর কত দিন টেকে সেই সম্পর্ক? এসব বিষয় নিয়ে লিখেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প ও ম্যাকডুগালের মধ্যে দীর্ঘ ১০ মাস সম্পর্ক ছিল। ট্রাম্প বিবাহিত ছিলেন। ঘরসংসার সামলে তিনি মাসে অন্তত পাঁচ দিন দেখা করতেন ওই নারীর সঙ্গে। লাস্যময়ী ম্যাকডুগালের জন্ম ইন্ডিয়ানাতে। ছোটবেলায় মিশিগানে চলে যান তিনি। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি মডেলিং শুরু করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি প্লেবয়ে যোগ দেন। প্রখ্যাত পামেলা অ্যান্ডারসনের পরে দ্বিতীয় নারী হিসেবে প্লেমেট অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। একজন কলামিস্ট ও অ্যাডভোকেট হিসেবেও পরিচিতি আছে ম্যাকডুগালের। ১৯৯৯ সালে পুরুষদের ফিটনেস ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে প্রথম নারী হিসেবে তাকে দেখা যায়। মডেলিংয়ের পাশাপাশি বিজ্ঞাপন ও টিভিতেও দেখা গেছে তাকে। তবে অপরূপা এই নারী মডেল হিসেবে যতটা আকাঙ্ক্ষিত হয়ে ওঠেন ততটা অভিনেত্রী হিসেবে এগোতে পারেননি। সিএনএনকে ম্যাকডুগাল বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল প্রেমময়। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, তাদের মধ্যে তেমন কোনো সম্পর্ক ছিল না। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ম্যাকডুগালকে দেড় লাখ ডলার দেয় ন্যাশনাল এনকোয়ারার নামের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকা। চুক্তি ছিল, ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি খোলামেলাভাবে ফাঁস করবেন এবং সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আর কোথাও কিছু বলবেন না। তবে ট্যাবলয়েডটি সেই সাক্ষাৎকার অবশ্য কখনো ছাপেনি। ম্যাকডুগালের অভিযোগ, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নেতিবাচক খবর বন্ধ করিয়ে রাখতে সংবাদপত্রটি কৌশলে কাজটি করেছিল। এ ধরনের কৌশল ‘ক্যাচ অ্যান্ড মেল’ অপরাধ নামে পরিচিত। ট্রাম্প তার বিষয়ে নেতিবাচক কথা ধামাচাপা দিতে এই কাজ করেছে বলে পরে তদন্তে জানা গেছে।
এ জাতীয় আরো খবর..