ইকুয়েডরের গুয়াকুইল বন্দরের এক কারাগারে শুক্রবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ বন্দী নিহত হয়েছেন।
একই কারাগারে ছয় বন্দীর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া এবং তার আগে সপ্তাহের শুরুতে তিন নারী রক্ষী নিহতের ঘটনার পর, সেখানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সূচনা হয়। খবর এএফপি’র।
প্রচুর লাভজনক অবৈধ ব্যবসা- মাদক পাচারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লড়াইকারী অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বিরোধের জেরে, ইকুয়েডরের কারাগারগুলিতে বারবার এধরনের হত্যাকান্ডের দৃশ্য দেখা যায়।
শুক্রবারের ‘গুয়াস-ওয়ান’ নামে পরিচিত গুয়াকুইল বন্দরের ওই কারা সংশোধনাগারে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের শরীরে বুলেটের ক্ষতচিহ্ন রয়েছে উল্লেখ করে- প্রসিকিউটরের অফিস বলেছে, ওই ১২ বন্দীর মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের সনাক্ত করার জন্য একটি তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে দেশের এই প্রধান বন্দর গুয়াকিল, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ইকুয়েডরের মাদক পাচারের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। কলম্বিয়া ও পেরুর মধ্যবর্তী এই এলাকাটি বিশ্বের প্রধান কোকেন উৎপাদনকারী অঞ্চল। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে, এই এলাকায় কারাগারগুলিতে আটটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ডে ৪ শতাধিক বন্দী নিহত হয়েছে। সূত্র : বাসস