ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় জুটি সালমান শাহ ও শাবনূর। এ জুটি একে একে উপহার দিয়েছেন ১৪টি ছবি। পর্দায় যেমন তাদের রসায়ন দেখেছে দর্শকরা, ঠিক বাস্তবেও তাদের মাঝে গড়ে উঠেছিল সখ্য। শুটিংয়ের সুবাদে দুজনের মধ্যে ভালো একটি সম্পর্কও গড়ে ওঠে। তাদের দুজনের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে সে সময় অনেক খবর প্রকাশ হয়েছে। অনেক মুখরোচক আলোচনা হতো ফিল্মপাড়ায়।
গতকাল ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর আত্মহত্যা নিয়ে দুপুরে ব্রিফ করেছে পিবিআই। ব্রিফিংয়ে সালমান হত্যায় ঘুরেফিরে নায়িকা শাবনূরের প্রসঙ্গ আসে। সালমানের স্ত্রী সামিরার উদ্ধৃতি দিয়ে পিবিআই জানিয়েছে, শাবনূরের সঙ্গে সালমানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল আর সালমান তাকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন। সেসব নিয়েই স্ত্রী সামিরার সঙ্গে ঝামেলা তৈরি হয়েছিল। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সালমানের আত্মহত্যার আগের দিন তার ডাবিং দেখতে এফডিসিতে গিয়েছিলেন সামিরা। ডাবিং রুমে শাবনূর ও সালমানকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখেন তিনি। এতে সামিরা রাগ করে বের হয়ে যান।
ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, সামিরা শুটিং ফ্লোর থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর সালমান ও বাদল খন্দকার বাসায় চলে আসেন। বেশ কয়েকবার শাবনূর সালমানের বাসায় ফোন করেন। সালমান শাবনূরকে বলেন, ‘তুমি আর কখনো আমাকে ফোন করবে না।’
এ ছাড়া সালমানের বাসায় প্রায়ই নাকি আসতেন শাবনূর। আত্মহত্যার আগে সালমান শাবনূরের উপহার দেওয়া টেবিল ফ্যান ভেঙে ফেলেন সালমান। সালমানকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও দাবি করেছে পিবিআই।
দুই যুগ পার হলেও ভক্তদের মাঝে সালমান শাহ এখনো যেন সমান জনপ্রিয়। সালমান নেই, আছেন শাবনূর। গতকাল সালমান শাহর মৃত্যুর তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর পরই শাবনূর চলে আসেন আলোচনায়। শাবনূরকে ঘিরে ভক্তদের মাঝে কোনো ক্ষোভ নেই। ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন ওপারে ভালো থাকুক প্রিয় নায়ক।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহকে ঢাকার নিউ ইস্কাটন রোডের নিজ বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যু মামলা করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।