পটুয়াখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অর্ধশত দোকান ও বাড়ি ভস্মীভূত হয়েছে। এতে ছয়জন আহতসহ অর্ধশত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার (৩ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পৌর শহরের মিঠা পুকুরপাড় এলাকায় ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ড হয়।
এ সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে রাশেদ খান (৩৫) ও শাহাদাৎ হোসেন (৫০) ফায়ারকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। একইসাথে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সদর ফাড়ীর টি এস আই গোলাম মোস্তফা (৫২) গুরুতর আহত হন। এছাড়া প্রাথমিকভাবে আগুনে পুড়ে জিহাদ (৯), মাশরাফি (২০) ও আব্দুল্লাহ (১৬) আহত হয়।
জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা হারুন মুন্সির তেলের গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। বাতাসের চাপে মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখায় রাস্তার দু’পাশের অর্ধশতাধিক দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ও স্থানীয়দের দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন জ্বলছিল। স্থানীয়রা জানায় সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তারা হালকা ধোঁয়া দেকতে পান। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে যায়। বিশেষ করে ওই এলাকায় তেল ও গ্যাসের দোকান থাকায় আগুনের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পায়। এ সময় কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এছাড়া বাতাসের চাপে রাস্তার বিপরীত পাশেও আগুন ছড়িয়ে পরে। স্মরণকালে এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড দেখেনি পটুয়াখালীবাসী।
এদিকে সংস্কার করার লক্ষ্যে মিঠাপুকুর শুকিয়ে ফেলার কারনে পানির অভাবে ক্ষতির পরিমান অনেকটা বেড়েছে। এখনো আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস পটুয়াখালীর ওয়্যারলেস অপারেটর মো: ফারুক জানান, সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে তারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তাদের ছয়টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আরো পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলের কাছাকাছি রয়েছে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হওয়ার পর তারা ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন ও উদ্ধার কাজ চালাবেন।