শরিয়তপুরে চলন্ত যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে পড়ে নিখোঁজ হওয়া জহুরা বেগম নামের নারীকে ১০ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। গতকাল বুধবার রাত ১১টায় জেলার ঠান্ডাবাজার সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।
আজ দুপুরে কোস্টগার্ডের মিডিয়া সহকারী রুবেল পারভেজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জহুরা বেগম গোসাইরহাটের কুচাইপট্টিতে তার স্বামী জহিরুলের সঙ্গে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা নারায়ণগঞ্জে বসবাস করেন।
কোস্টগার্ড মিডিয়া ও গোসাইরহাট থানা পুলিশ জানিয়েছে, গোসাইরহাট-ঢাকা রুটটি দিয়ে গোসাইরহাটসহ বরিশালের মুলাদী অঞ্চলের যাত্রীরা যাতায়াত করেন। গতকাল বুধবার গোসাইরহাটের মিত্রসেন পট্টির লঞ্চঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এম ভি ঈগল-৩ লঞ্চ থেকে রাত ১১টায় নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন জহুরা বেগম। লঞ্চ থেকে পড়ে যাওয়া ওই নারী একটি চরে আটকে ছিল। নিখোঁজের ১০ ঘণ্টা পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় তাকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। তিনি বর্তমানে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম শিকদার বলেন, লঞ্চ থেকে পড়ে যাওয়া নারী একটি চরে আটকে ছিল। তিনি বর্তমানে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে জহুরা বেগম জানিয়েছেন, তিনি পানের সঙ্গে সুপারি-জর্দা বেশি খাওয়ার কারণে মাথা ঘুরে নদীতে পড়ে যান। তিনি পড়ে যাওয়ার সময় তার স্বামী জহিরুল ও সন্তান ঘুমিয়ে ছিলেন। স্বামী ও সন্তান জানতে পেরে সবাইকে জানান। এরপরই তাকে উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।