প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৭৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আক্রান্ত হয়েছে ৮০ হাজার ৩৮৬ জন। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসের বিস্তার ৪৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনে নতুনভাবে আরও ৬৫০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বুধবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেইপ্রদেশের উহান শহরে প্রথম এ ভাইরাস ধরা পড়ে, যা এখন এশিয়ার বেশ কিছু দেশ, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়া ‘অনিবার্য’। আর এ বিষয়ে মার্কিনিদের সতর্কবার্তা দিয়েছেন তারা। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৫৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসকে জরুরি ভিত্তিতে শতকোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। চীনের বাইরে ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইতালিতে বড় আকারে করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। লাতিন আমেরিকা বা দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে ব্রাজিলে প্রথম কোনো ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। ৬১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি সম্প্রতি ইতালি থেকে দেশে ফিরেছিলেন। আক্রান্ত ব্যক্তির আরও বিশদ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) বিশেষজ্ঞরা স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার মার্কিনিদের আসন্ন করোনাভাইরাস প্রকোপের বিষয়ে সতর্কবার্তা দেন।