প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে একদিনের পুলিশ হেফাজতে থাকা গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য অনুতপ্ত। ভবিষ্যতে আর এমন কর্মকাণ্ডে জড়াবেন না এবং মাদক গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন পুলিশকে। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে মাদক সরবরাহকারীচক্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
শরীয়তপুরের একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে অর্থ নিয়েও না যাওয়ায় গত শুক্রবার ঢাকার মতিঝিল থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা হয় নোবেলের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের মাধ্যমে একদিনের হেফাজতে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পরদিন গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশিদ জানান, সঙ্গদোষে মাদকাসক্ত হয়েছেন নোবেল। তবে এখন তা ছেড়ে দিতে চান। নোবেল যাদের কাছ থেকে মাদক পেতেন, তাদের ধরতে মাঠে নামবেন তারা। এই তালিকায় সংগীত জগতের অনেকেই রয়েছে। কার কার মাধ্যমে মাদকাসক্ত হয়েছেন, এটাও তিনি বলেছেন। মাদকাসক্ত হওয়ার কারণেই তিনি কোনো প্রোগ্রাম রাখতে পারেন না। আর প্রোগ্রামে গেলে মাতাল হয়ে যান।
তিনি আরও জানান, মাদক সরবরাহকারীদের নাম জানিয়েছেন নোবেল; কিন্তু এগুলো বলতে চাচ্ছি না। অনেক শিল্পীও আছেন, তাদের ব্যাপারেও অভিযান চালানো হবে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টাকা নিয়ে প্রোগ্রাম না করা, স্ত্রীকে মারধর করে বের করে দেওয়াসহ সব অপরাধ স্বীকার করে নোবেল এখন অনুতপ্ত। মাদক থেকে সরে আসতে কয়েক মাস সময় চেয়েছেন। দোষ স্বীকার করে সুন্দরভাবে পরিবারের সাথে থাকার আকুতি জানিয়েছেন নোবেল। দুই পরিবার বসে সমঝোতার চেষ্টা করছে। ভবিষ্যতে যেন পরিবারে কোনো অশান্তি না হয়, মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষার চেষ্টা করবেন বলে কথা দিয়েছেন।
গতকাল দুপুরেও মিন্টো রোড গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে দেখা যায় নোবেলের সাবেক স্ত্রী সালসাবিলকে। গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা নোবেল ও সালসাবিলকে নিয়ে বসেন। এ সময় নোবেল বলেছেন, সালসাবিলকে নিয়ে সংসার করতে চান।