নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে তেলবাহী জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
সবশেষ রোববার (১১ জুন) সকাল ৯টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মারা যান মো: সোহেল (৩৭)।
এর আগে মৃত্যু হওয়া তিনজন হলেন- তাজুল ইসলাম (৩৩), মো: হুমায়ুন কবির (৫৪) ও মো: রুবেল (৩৮)।
শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মারা যান রুবেল। হুমায়ুন কবির মারা যান রাত ১০টার দিকে। এর আগে তাজুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
গত ৩ জুন এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে আটজন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা: মো: তরিকুল ইসলাম জানান, রূপগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের আগুনের ঘটনায় মোট আটজন ভর্তি হন। তাদের মধ্যে তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, দগ্ধদের মধ্যে প্রথমে মারা যান তাজুল ইসলাম। তার শরীরের ৬৭ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এরপর শনিবার রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হুমায়ুন কবির মারা যান। তার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। একই রাতে মারা যান রুবেল, তার শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ ঘটনায় ইমতিয়াজ নামে আরো একজন চিকিৎসাধীন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
নৌ পুলিশ জানায়, শীতলক্ষ্যা নদীতে রূপগঞ্জের ইছাপুরা এলাকার একটি ডগ ইয়ার্ডের মালিকানাধীন এই তেলের ট্যাংকারটি শীতলক্ষ্যা নদীতে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছিল। ৩ জুন রাতে শ্রমিক-কর্মচারীরা ঘুমিয়ে পড়লে হঠাৎ করেই ইঞ্জিন রুমে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনের তাপে এবং আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ইঞ্জিন রুমে থাকা আট শ্রমিক দগ্ধ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দল পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা গুরুতর।