টাইটানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে আটলান্টিক মহাসাগরের গভীর পানির তলায়। গত কয়েক দিন ধরেই এই টাইটান ডুবোজাহাজের উদ্ধারে ব্যস্ত ছিল উদ্ধারকারী দল। কিন্তু কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছিল না এটিকে। শেষ পর্যন্ত এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। সেটি দেখে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এটি এত দ্রুত ভিতর দিকে দুমড়ে গিয়েছিল, যাত্রীরা হয়তো টেরই পাননি তাদের মৃত্যু হচ্ছে।
কী ঘটেছে সেখানে? বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পানির এতটাই নিচে চলে গিয়েছিল এই নৌযান, পানির চাপেও এই তুবড়ে যায়। ভেতরে কৃত্রিমভাবে যে চাপ নিয়ন্ত্রণ করা হয়, সেটি ভারসাম্য রাখতে পারে না পানির চাপের সাথে। আর ওই কারণেই এটি দুমড়ে ভেঙে যায়।
সমুদ্রবিজ্ঞানী ডেভিড মার্নস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যে ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে, তা থেকে আন্দাজ করা যায়, ঘটনাটি খুবই কম সময়ে ঘটেছে। বলা ভালো, মিলি সেকেন্ডে ঘটেছে। এতই কম সময়ে যানটি তুবড়ে গিয়েছে এবং ভিতরের যাত্রীরা প্রাণ হারিয়েছেন, সেটি ভিতরে বসে থাকা কেউ টেরই পাননি। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘ক্যাটাসট্রোফিক ইমপ্লোশন’। এই ধরনের ক্ষেত্রে প্রচণ্ড দ্রুত ভিতর দিকে তুবড়ে যায় এই জাতীয় যান। এব সেটি ঘটে পানির চাপের কারণেই।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, মানুষের শরীরের কোথাও চোট এলে সেই ব্যথা মস্তিষ্কে পৌঁছোতে যতটা সময়ে লাগে, তার চেয়ে অনেক কম সময়ে গোটা ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে। ফলে ভিতরের মানুষ হয়তো টেরও পাননি তাদের কোনো ব্যথা লাগছে।
এই ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার সাথে সাথে টাইটান নিয়ে নিয়ে যাবতীয় জল্পনার শেষ হলো। অনেকেই মনে করছিলেন, ভিতরের মানুষ হয়তো তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছেন, সেই সংশয়ও দূর হলো।
গত কয়েক দিনে বহু ধরনের তত্ত্ব বাজারে এসে গিয়েছিল। পানির তলায় ধাক্কার মতো একটি শব্দ ধরা পড়ে উদ্ধারকারীদের রেকর্ডারে। অনেকের মত ছিল, সেটি ওই যান থেকে ভিতরে আটকে পড়া যাত্রীদের শব্দ। এছাড়া আরো নানা ধরনের কথাও ছড়িয়েছিল নানা মহলে। কিন্তু ওই সব জল্পনার ইতি হলো এর সাথে সাথে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস