প্রতি বছর ঈদুল আজহার আগ মুহূর্তে নানা আকৃতি ও দামে আলোচনায় আসে বাহারি নামের গরু ও ছাগল। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ‘মিঠু’ নামের ৯৫ কেজি ওজনের একটি খাশি। খাশির দাম হাঁকানো হয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা। তবে এর কিছু কম হলেও খাশিটি বিক্রি করে দেবেন মালিক।
রাজবাড়ী পৌর পশু হাটে খাসিটি তোলা হলে এক নজর দেখতে ভিড় করেছিলেন অনেকেই। বিশেষ করে হাটে আসা ক্রেতাদের নজরের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল খাসিটি। খাসিটির মালিকের নাম ওমর। তিনি মিজানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাগমারা এলাকার রফিক সরদারের ছেলে। স্কুলছাত্র ওমর তিন বছর ধরে খাসিটি লালনপালন করেছে।
ওমর বলেন, তিন বছর ধরে আমি খাসিটিকে লালনপালন করে বড় করেছি। শখ করে নাম রাখি ‘মিঠু’। মিঠু বলে ডাক দিলেই সে সাড়া দেয়। খাসিটিকে আমি ভাত, খড়, ভুসি ও ঘাস খাওয়াই। এটিকে বিক্রির জন্য আজ হাটে তুলেছি। আমার সাথে চাচা ও চাচাত ভাই এসেছেন। দাম চাচ্ছি এক লাখ ২৫ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ৮০ হাজার টাকা দাম হয়েছে। এক লাখ টাকা হলে বিক্রি করে দেব।
হাটে আসা দর্শনার্থী রেজাউল বলেন, আমার কখনো এত বড় খাসি দেখিনি। হাটে ঢুকতেই খাসিটি আমার নজর কাড়ে।
কাজী রকিবুল হাসান নামের আরেকজন বলেন, বিশাল আকারের খাসিটি দেখতে ছোটখাট একটি গরুর মতো। আমি জীবনে এত বড় খাসি দেখিনি।
হাটে খাসি কিনতে আসা ক্রেতা মিরাজ শেখ বলেন, আমি কোরবানির জন্য একটি খাসি কিনতে হাটে এসেছি। হাটে বেশ কয়েকটি খাসি দেখলাম। তার মধ্যে মিঠু নামের খাসিটি সবচেয়ে বড়।
হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি জনি বলেন, রাজবাড়ীর হাটে আজকে একটি বড় খাসি উঠেছে। খাসিটির ওজন ৯৫ কেজি হবে। বিক্রেতা এক লাখ ২৫ হাজার টাকা দাম চাচ্ছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: খায়েরউদ্দিন বলেন, এ বছর রাজবাড়ীর বিভিন্ন পশুর হাটে রোগাক্রান্ত পশু শনাক্ত ও চিকিৎসাসেবা প্রদানে জেলা প্রাণিসম্পদ দফতর থেকে ভেটেনারি মেডিকেল টিম থাকবে। এ বছর রাজবাড়ীতে সাড়ে আট হাজার খামারে ৫৪ হাজার ৫২৫টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। সরকারি হিসাব মতে, এ বছর ১৪ হাজার ৯৮৫টি ষাঁড়, ৩৩ হাজার ১০টি ছাগল, ছয় হাজার ২০০টি গাভি, ৩০টি মহিষ, ৩০০টি ভেড়া কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।