আফগানিস্তানকে বড় সংগ্রহ এনে দিলো উদ্বোধনী জুটি। প্রথমে রাহমানুল্লাহ গুরবাজ, এরপর ইবরাহীম জাদরান; উভয়ের জোড়া শতকে ভর দিয়ে বাংলাদেশের সামনে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিল তারা। ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে তুলেছে ৩৩১ রান। সিরিজে সমতা ফেরাতে তাই কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে টাইগারদের। এর আগে কখনোই এত রান তাড়া করে জেতেনি বাংলাদেশ।
স্বাগতিকদের হতাশায় ডুবিয়ে দুর্দান্ত এক শতক তুলে নেন গুরবাজ। সর্বশেষ বাংলাদেশের বিপক্ষেই শতকের দেখা পেয়েছিলেন তিনি। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই মাঠেই করেন অপরাজিত ১০৬ রান। আজ খেলেন ১২৫ বলে ক্যারিয়ার সেরা ১৪৫ রানের ইনিংস। শতক তুলেন ইবরাহীম জাদরানও। যদিও এরপর ইনিংসটা টানতে পারেননি তিনি। ফেরেন ১১৯ বলে ১০০ করে।
চট্টগ্রামের এ ম্যাচে টস জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে প্রথম উইকেটের দেখা পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় ৩৬ ওভার পর্যন্ত। অবশেষে ৩৬.১ ওভারে এসে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। বিধ্বংসী হয়ে উঠা গুরবাজকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন সাকিব।
এর আগে ইবরাহীমকে নিয়ে তো ইতিহাস রচনা করে ফেলেন গুরবাজ। দুজনে মিলে ২৫৬ রান যোগ করে গড়েন আফগানিস্তান ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের জুটি। যা আবার বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো প্রতিপক্ষের করা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি।
পরের বলেই পড়তে পারতো দ্বিতীয় উইকেট। তবে মুশফিকের ভুলে অপেক্ষা বাড়ে। যদিও সেই অপেক্ষা বড় হয়নি, পরের ওভারেই রহমত শাহকে ফেরান এবাদত হোসেন। সদ্য নামা রহমতের ব্যাটে আসে ৫ বলে ২ রান। থিতু হতে পারেননি অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদিও, তার স্ট্যাম্প ভাঙেন মেহেদী মিরাজ। ৭ বলে ২ করেন তিনি।
পরের উইকেটও যায় মিরাজের ঝুলিতে। নাজিবুল্লাহ জাদরানকে (১০) ফেরান তিনি। আর ২৯৯ রানে ইবরাহীমের উইকেট নেন মোস্তাফিজ। ততক্ষণে শতক ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। দলীয় রান তখন ২৯৯। এরপর ইনিংস টানেন মোহাম্মদ নাবি। ১৫ বল খেলে ২৫* রান যোগ করেন তিনি। রশিদ খান করেন ৬ রান।
দলের সেরা বোলার সাকিব আল হাসান, ৫০ রানে ২ উইকেট নেন তিনি। দুটো করে উইকেট পান মিরাজ, হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। অপরটি এবাদতের।