ছয়টি দেশ থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতেই হবে বলে জানিয়েছেন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহারিয়ার সাজ্জাদ।
রোববার বিকালে সাংবাদিকদের বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশগুলো হচ্ছে চীন, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইরান ও থাইল্যান্ড থেকে আসা যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
এই কর্মকর্তা আরো বলেন, এ ছয়টি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানারে পরীক্ষা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে স্ক্যানার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। একই সঙ্গে অবতরণের পর ‘হেলথ ডিক্লারেশন’ ফরম দেওয়া হচ্ছে, এখানে তাদের শারীরিক বিষয়সহ বিভিন্ন তথ্য পূরণ করতে হবে। স্বাস্থ্য তথ্য কার্ড দেওয়া হচ্ছে। ছয়টি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের শরীরে জ্বর না থাকলেও তাদের বাধ্যতামূলকভাবে নিজ বাড়িতে বা তাঁরা যেখানে থাকবেন, এখানে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তবে বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় যদি যাত্রীর শরীরে তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা এর বেশি তাপমাত্রা থাকে, তাহলে তাকে সরাসরি কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।
মোহাম্মদ শাহারিয়ার জানান, বিমানবন্দরে বিভিন্ন সংস্থার হয়ে যাঁরা দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁদের হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
গত ২১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত শাহজালাল বিমানবন্দরে ২ লাখ ৬ হাজার ১০ জন যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬১ জনের জ্বর ছিল। আর ৫ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।