চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সুস্থ রুগীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি বাঁশখালীতে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ঘটনাস্থলে সুস্থ রুগী মফিজ উদ্দিন(৭০) ও তার ভাইয়ের স্ত্রী জয়নাব বেগম(৩৫) ছিন্নভিন্ন হয়ে এবং হাসপাতালে নিহ মফিজ উদ্দিনের পুত্রবধু বুলবুল আক্তার(৩৫)সহ একই পরিবারের ৩ জন নিহত ও নিহত মফিজের অপর দুই ছেলে ও অ্যাম্বুলেন্সের হেলপার মুন্না(২২) পিতা-শামসুল আলম চকোরিয়া জনতা মার্কেট এলাকাসহ ৩ জন গুরতর আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত মফিজুর রহমানের আহত দুই পুত্র হলো শাহাব উদ্দিন(৪০) ও নিজাম উদ্দিন।
তবে ওই ঘটনার পর থেকে অ্যাম্বুলেন্সের চালকে কোন হদিস কেউ জানতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর বেলা আড়াইটায় চট্টগ্রাম-আনোয়ারা-বাঁশখালী পিএবি সড়কের আনোয়ারা চাতুরী এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও আনোয়ারা থানার পুলিশ পরিদর্শক দুলাল মাহমুদ ও চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপসহকারী পুলিশ পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার জানায়. বাঁশখালী উপজেলার সনুয়া ইউনিয়নের ৩ ওয়ার্ড কাজি পাড়ার বাসিন্দা মরহুম খলিলুর রহমানের পুত্র মফিজ উদ্দিন(৭০) অসুস্থ হয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হন ।
তিনি সুস্থ হলে দুই ছেলে পুত্রবুধ ভাইয়ে স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা তাকে বাড়ি নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স চট্টমেট্টো-চ-১১-৪০৪৮ ভাড়া করে বাঁশখালী রওনা হয় এসময় আনোয়ারা অতিক্রম কালে হটাৎ বিকট শব্দে অ্যাম্বুলেন্সের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয় এতে অ্যাম্বুলেন্সটি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় এতে ঘটনাস্থলে সনুয়ার কাজি পাড়্রা মরহুম খলিলুর রহমানের পুত্র মফিজ উদ্দিন ও তার ভাই কামালের স্ত্রী জয়নাব বেগম ঘটনাস্থলে ছিন্নভিন্ন হয়ে নিহত হয়। এসময় গুরুতর আহত মফিজ উদ্দিনের পুত্র শাহাব উদ্দিন তার স্ত্রী বুলবুল আক্তার ও ছোট ভাই নিজামকে মুমুর্ষ অবস্থায় চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুলবুল আক্তার মারা যান।
একই পরিবারের তিন জন নিহত ও দুই সন্তান গুরুতর আহত হওয়ায় বাঁশখালী সনুয়া কাজি পাড়ায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
এ ব্যাপারে পুনারায় যোগাযোগ করা হলে আনোয়ারা থানার পুলিশ পরিদর্শক দুলাল মাহমুদ বলে নিহতের পরিবারের সদস্যগণ থানায় এসেছে, পরিবারের সাথে আলোচনা করে রাশ হস্তান্নরের ব্যবস্থাসহ মামালার প্রক্রিয়াও চলছে বলে তিনি জানান।