মানব সেবায় মনোনিবেশ করতে মাইক্রোসফটের পরিচালনা পর্ষদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস (৬৫)। গতকাল শুক্রবার বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এই ধনী ব্যক্তি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, উন্নয়ন, শিক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানোর কাজে আরও বেশি মন দিতে এই ঘোষণা দেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু মাইক্রোসফটই নয় ওয়ারেন বাফেটের মালিকানাধীন হোল্ডিং কোম্পানি বার্কশায়ার হাথাওয়ের পর্ষদ থেকেও পদত্যাগ করেছেন তিনি।
২০০৮ সালের শুরুতে মাইক্রোসফটের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে শুরু করেন বিল গেটস। এবার পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগের কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘মাইক্রোসফট সব সময় আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে থাকবে। দ্বিতীয় ধাপে আমি অংশীদারত্ব এবং বন্ধুত্বের মাধ্যমে সম্পর্ক ধরে রাখতে চাই।’
দীর্ঘদিন পৃথিবীর শীর্ষ ধনীর তালিকায় প্রথম থাকা বিল গেটস এই মুহূর্তে ফোর্বসের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। উপরে আছেন আমাজনের জেফ বেজোস।
শৈশবে কলেজ থেকে ছিটকে পড়ার পর তিনি ১৯৭৫ সালে নিউ মেক্সিকোর আলবুকারকিউতে চলে যান। সেখানে বন্ধু পল অ্যালেনকে সঙ্গে নিয়ে গেটস মাইক্রোসফটের কার্যক্রম শুরু করেন।
তাদের জীবনের গতিপথ পাল্টে যায় ১৯৮০ সালের দিকে। সে সময় অপারেটিং সিস্টেম এমএস-ডিওএস তৈরি করতে আইবিএমের সঙ্গে চুক্তি হয় তাদের।
মাইক্রোসফট উন্মুক্ত হয় ১৯৮৬ সালে। এক বছরের মধ্যে ৩১ বছর বয়সী বিল গেটস নিজের প্রচেষ্টায় সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ারে পরিণত হন।
গেটস ২০০৪ সাল থেকেই বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ওয়ারেন বাফেটের কোম্পানি বার্কশায়ারের পরিচালনা পর্ষদেরও সদস্য ছিলেন। তবে দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ও তার স্ত্রী নিজেদের প্রতিষ্ঠিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনেই বেশি সময় দিচ্ছিলেন। যার মাধ্যমে পৃথিবীর দরিদ্র দেশগুলোর উন্নয়নে কাজ করছেন দুজন।
২০১৮ সালে এ দম্পতি জনহিতৈষী কাজে প্রায় ৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার দান করেছেন। যে কারণে তারা দুজন পৃথিবীর সবচেয়ে জনহিতৈষী মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পায়।