গেল দু’দিন ধরে তারকা দম্পতি শরিফুল রাজ ও পরীমণিকে নিয়ে নেটদুনিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা। বিশেষ করে, রাজের মাথার রক্তাক্ত ছবি প্রকাশ্যে আসার পর। এই আলোচনায় ওঠে এসেছে আরেক নায়িকা তমা মির্জার নামও। কথা রটেছে, রাজ-পরীর মধ্যকার দ্বন্দ্বে উপস্থিত ছিলেন তমা ও নির্মাতা রায়হান রাফি। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন তমা! আর সেকারণে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছে তাকে।
যদিও বিষয়টি নিয়ে রাজ-পরী-তমা’র কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আদতে কী হয়েছে রাজ-পরীর? তাও স্পষ্ট জানা যায়নি। অবশেষে তমা কথা বলেছেন তার অসুস্থতার বিষয়টি নিয়ে। এই নায়িকার দাবি, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও মাথা ব্যথা নিয়ে গত শুক্রবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
এই নায়িকার ভাষ্য, ‘প্রথম কথা হচ্ছে কেউ কারও হাতে মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কি চেকইন দেয়? আমি কিন্তু হাসপাতালে ঢুকেই সেটা দিয়েছি। আর আমি সেই মেয়ে, যে স্বামীর হাতের মার খেয়ে ঘর ছেড়েছি। যার প্রতিবাদের জন্য যা যা করা দরকার তাই করেছি। তো সেই মেয়েটিকে অন্য কারও জামাই এসে মেরে চলে যাবে, আর আমি চুপচাপ হাসপাতালে শুয়ে কাঁদবো- সেটা তো কল্পনাই করতে পারি না। ফলে আমার বক্তব্য স্পষ্ট, রাজ-পরীর মারামারির যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, সেটার আশেপাশেও আমি ছিলাম না। ইভেন ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজ-পরী বাসা থেকে বেরিয়ে আমাকে ফোনও করেছে দেখা করার জন্য। আমি বলেছি, আমার জ্বর। আজ দেখা হবে না। এরপর পরী বললো, “ওকে বাসায় রেস্ট নাও। কাল দেখতে আসব।” এরমধ্যে কী হলো, আমি আর জানি না।’
একই দিন পরী ও আপনি দু’জনেই এক হাসপাতালে চেকইন দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তমা বলেন, ‘১৮ আগস্ট সন্ধ্যার পর জ্বরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমি ১০টার দিকে হাসপাতালে যাই। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আমি ওষুধ খেয়ে অচেতন অবস্থায় ছিলাম। হঠাৎ আম্মু ডেকে বললো, পরী এসেছে। উঠে দেখি পরী হুইল চেয়ারে। সঙ্গে রাজ্য-চয়নিকা বৌদি, নাচের দুটো ছেলেসহ বেশ কজন আমার কেবিনে। পরীও বললো, ওর জ্বর এসেছে। তাই চলে এসেছে। এরপর কাশতে কাশতে গল্প করলাম, জাস্ট এটাই।’
তবে তমার মনে কষ্ট; সেদিন রাতে ক্যানোলা লাগানো তাদের দুই হাতের ছবি পরী ফেসবুকে পোস্ট না করলে, তাকে ‘মার খাওয়া’র গল্পটা শুনতে হতো না। তবে রাজ-পরীর যেসব বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে, তার কিছুই জানে না তমা।