এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ।
বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আজ রোববার (০৩ আগস্ট) আফগানদের বিপক্ষে মাঠে নামবে সাকিবের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। কঠিণ সমীকরণ, ম্যাচ হারলেই বাড়ির পথ ধরতে হবে তাদের।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশ খেলবে পাকিস্তানের লাহোরের বিখ্যাত গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। প্রায় ১৬ বছর পর এই মাঠে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। সর্বশেষ এখাবে খেলেছিল ২০০৮ সালে, এশিয়া কাপে।
গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সব মিলিয়ে মোট ৫ টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যার মাঝে হারে চারটি ম্যাচেই। একমাত্র জয় ২০০৮ এশিয়া কাপে, আরব আমিরাতের বিপক্ষে।
এবারের এশিয়া কাপের স্কোয়াডে থাকা বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মাঝে মাত্র দু’জন আছেন এমন, যারা এই মাঠে আগেও খেলেছেন। প্রত্যাশিতভাবেই তারা দু’জন হলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।
গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সাকিবের অভিজ্ঞতা মিশ্র। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই সিরিজের প্রথম ম্যাচে বল হাতে শোয়েব মালিককে আউট করলেও ব্যাট হাতে ০ রান করেন। তবে পরের ওয়ানডেতে বেশ জমকালো পারফর্ম করেন তিনি। বল হাতে মোহাম্মদ ইউসুফ ও শহিদ আফ্রিদিকে আউট করার পাশাপাশি ব্যাট হাতে করেন ৭৩ বলে ৭৫ রান।
অন্যদিকে ২০০৮ এশিয়া কাপে ১ম ম্যাচে আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নেমে এই মাঠে ১৬ রান করেন মুশফিক। তবে একই আসরের তৃতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেন ৪৪ রানের ইনিংস।
গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ৮ উইকেটে ৩০০ রান। যা ২০০৮ এশিয়া কাপে আরব আমিরাতের বিপক্ষে করে টাইগাররা। আবার এই মাঠে সর্বনিম্ন ১২৯ রান করে বাংলাদেশ একই বছরে, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে।
বাংলাদেশের পক্ষে এই মাঠে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান মোহাম্মাদ আশরাফুলের, ৫ ম্যাচে ১৪২ রান করেন তিনি। এছাড়া সাকিব ৭৫ ও মুশফিক ২ ম্যাচে করেন ৬০ রান।9 এই মাঠে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট মাশরাফির। ৫ ম্যাচে মাশরাফি শিকার করেন ৫ উইকেট। ২ ম্যাচে সাকিবের উইকেট সংখ্যা ৩ টি।