লক্ষ্মীপুরে পুলিশের দুই মামলায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বাকি দুই আসামি হলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু। একই মামলায় জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমানসহ ৯ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
আজ রোববার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানোর আদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম, সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান রাজন, নাদিম মাহমুদ জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, লক্ষ্মীপুর পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল বারাকাত সৌরভ বুলেট, সদর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বায়েজীদ ভূঁইয়াসহ ৯ জন।
এদিকে গ্রেপ্তারদের কারাগারে নেওয়ার সময় আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করে। পরে নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গ্রেপ্তার আসামিদের কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, দুই মামলায় ৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একই মামলায় আদালতে অনুপস্থিত থাকায় শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ও লক্ষ্মীপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি আহমেদ ফেরদৌস মানিক বলেন, ‘আমাদের তিনজন নেতা অসুস্থ। আমরা তাদের জন্য সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু আদালতে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এটি ফরমায়েশি আদেশ ছিল। বিচারকদের বাধ্য করে এসব আদেশ দেওয়া হয়। দেশে আইনের শাসন নেই বলেই এমন ঘটনা ঘটছে।’
গত ১৮ জুলাই লক্ষ্মীপুরে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘিরে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় সদর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দুটিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী ওরফে এ্যানিকে প্রধান করে ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২ মামলায় অজ্ঞাতনামা ৩ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর, মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি ও বিস্ফোরকদ্রব্য ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে মামলা দুটি করা হয়।