বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩৫৬ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ পেয়েছিল ভারত। জবাব দিতে নেমে লড়াইও করতে পাকিস্তান।ব্যাটারদের ব্যর্থতায় মাত্র ১২৮ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে আজ ভারতের বিপক্ষে ২২৮ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাবর আজমের দল। ভারতের হয়ে ৮ ওভারে ২৫ রান দিয়ে একাই পাঁচ উইকেট নেন কুলদ্বীপ যাদব। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়া ও শার্দুল ঠাকুর।
পাকিস্তান-ভারতের ম্যাচটি ছিল রোববার। কিন্তু বৃষ্টির বাধায় খেলা গড়ায় আজ রিজার্ভ ডেতে। ২ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে ভারত। উইকেটে থাকা বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন।
রাহুল-কোহলির জোড়া সেঞ্চুরিতে ভারতের ৩৫৬
দুজনই আগের দিন অপরাজিত ছিলেন, আজও থাকলেন। এর মধ্যে দুজনেই তুলে নিলেন সেঞ্চুরি।
তাতে ভারতের পুঁজি হলো ৩৫৬ রান। বিরাট কোহলি ১২২ আর রাহুল অপরাজিত ১১১ রানে।
অবশেষে শুরু হলো ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ
বৃষ্টির কারণে প্রায় ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর অবশেষে মাঠে গড়ালো ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে শুধু এই ম্যাচের জন্যই রিজার্ড ডে রেখেছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।
রিজার্ভ ডেতেও বৃষ্টির বাগড়া, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ শুরু হতে বিলম্ব
প্রথম ইনিংসে ভারতের ব্যাটিংয়ের ২৪.১ ওভারে বৃষ্টি নামে। এরপর আর খেলাই শুরু হয়নি। এরপর খেলা গড়ায় রিজার্ভ ডেতে। কিন্তু আজ রিজার্ড ডেতেও বৃষ্টি বাগড়া দিচ্ছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী মাঠ এখনও কাভারে ঢাকা রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু হয়নি এবং কখন শুরু হবে সেটা এখনও নিশ্চিত নয়।
বৃষ্টিতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ গড়ালো ‘রিজার্ভ ডেতে’
শঙ্কা আগে থেকেই ছিল। এ কারণেই আসরের মাঝপথে শুধু এ ম্যাচেই রিজার্ভ ডে’র ব্যবস্থা করা হয়। শেষ পর্যন্ত সেই রিজার্ভ ডে’তেই ম্যাচ গড়ালো। প্রথম ইনিংসে ভারতের ব্যাটিংয়ের ২৪.১ ওভারে বৃষ্টি নামে। এরপর আর খেলাই শুরু হয়নি। রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকেও ৯টা ৩০ মিনিটে ৩৪ ওভারের ম্যাচ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু এরপর আবার বৃষ্টি আসলে দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।
বৃষ্টি থেমেছে, মাঠ প্রস্তুত হচ্ছে
কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে বৃষ্টি থেমেছে। এখন মাঠ প্রস্তুত করছেন মাঠকর্মীরা। দুই অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনা করেছেন আম্পায়াররা। কিছু ওভার কাটা যাচ্ছে, এটা প্রায় নিশ্চিত।
রোহিতের পর গিলও আউট, খেলায় ফিরলো পাকিস্তান
বল হাতে নিয়েই প্রথম ওভারে ১৯ রান হজম করেন পাকিস্তানি পেসার শাদাব খান।
যেখানে ২ ছক্কা ও ১ চার হাঁকান রোহিত শর্মা। পরের ওভারে ফিরেই রোহিতকে ফেরালেন শাদাব। ঠিক তার পরের ওভারে আরেক ওপেনার শুভমনকে ফেরান পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি। রোহিত করেন ৪৯ বলে ৬ চার ও ছক্কায় ৫৬ রান। আর গিলের ব্যাট থেকে আসে ৫২ বলে ১০ চারে ৫৮ রান। ১৮ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১২৪ রান। নতুন ব্যাটার হিসেবে উইকেটে এসেছেন বিরাট কোহলি ও কে এল রাহুল।
রোহিত-গিলের জোড়া ফিফটি, ভারতের ঝড় চলছেই
শুরু থেকেই চলা দুই ভারতীয় ওপেনারের দাপট চলছেই। ইতিমধ্যে দুজনেই ফিফটি স্পর্শ করেছেন। ১৪তম ওভারে ভারতের দলীয় রান ১০০ পার হয়েছে। ১৬ ওভারে তাদের সংগ্রহ ১১৮ রান। রোহিত ৪৮ বলে ৫৬ আর গিল সমান বলে ৫৫ রান নিয়ে ব্যাটিং করছেন।
পাওয়ার প্লেতে দাপট ভারতীয় ওপেনারদের, ছন্নছাড়া পাকিস্তানের পেসাররা
আগের ম্যাচে পাকিস্তানের পেসারদের সামনে খেই হারিয়েছিল ভারতের টপ অর্ডার। এরপর এটা নিয়ে অনেক আলোচনাও হয়েছে। তবে আজ শুরুতেই পাকিস্তানি পেসারদের ওপর দাপট দেখিয়েছেন ভারতের ২ ওপেনার। রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল মিলে পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ভারতের স্কোরবোর্ডে রান তুলেছেন ৬১।
ভারতের ইতিবাচক শুরু
ম্যাচের আগে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল, পাকিস্তানের পেসত্রয়ীকে কিভাবে সামলাবে ভারত। চলতি আসরেই এই শাহীন-নাসিমদের বিপক্ষে মুখ থুবড়ে পড়েছিল ভারতের টপ অর্ডার। তবে আজ একেবারে ভিন্ন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে। ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল শুরু থেকেই আজ চড়াও হয়েছেন পাকিস্তানি পেসারদের ওপর। তাদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মোটামুটি ঝড়ো শুরু পেয়েছে ভারত। বিপরীতে পাকিস্তানের পেসারা এখন পর্যন্ত তেমন ভয় ধরাতে পারেননি। ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ভারতের সংগ্রহ ৩৭ রান।
ব্যাটিংয়ে ভারত, একাদশে বুমরাহ
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান। টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। এই ম্যাচে ভারতের একাদশে ফিরেছেন জাসপ্রিত বুমরাহ।
ভারত একাদশ
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, কেএল রাহুল, ইশান কিষান (উইকেটরক্ষক), হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, শার্দুল ঠাকুর, কুলদীপ যাদব, জাসপ্রীত বুমরাহ এবং মোহাম্মদ সিরাজ।
পাকিস্তান একাদশ
ফখর জামান, ইমাম উল হক, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), আগা সালমান, ইফতেখার, শাদাব খান, ফাহিম আশরাফ, শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ এবং হারিস রউফ।