করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে৷ তবে তাতে এক-দেড় বছর সময় লেগে যাবে৷ তার আগে করোনার ওষুধ তৈরির চেষ্টা চলছে৷ এতে স্বল্পমেয়াদি সুফল পাওয়া যেতে পারে৷
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর যারা বেঁচে ফিরেছেন, তাদের রক্ত থেকে অ্যান্টিবডি নিয়ে ওষুধ তৈরির চেষ্টা চলছে৷ এমন ওষুধ দিয়ে আক্রান্ত রোগীদের কয়েক সপ্তাহ চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে৷
সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮৬ হাজার করোনা-আক্রান্ত মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন৷ এদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে, যা পরবর্তীতে শরীরকে আবারও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে৷
সুস্থ হয়ে ফেরা এই ব্যক্তিদের অ্যান্টিবডি আক্রান্ত রোগীর শরীরে ঢোকালে ঐ শরীরে ‘প্যাসিভ ইমিউনিটি’ গড়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷
এই আশায় চীন, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অ্যান্টিবডি দিয়ে ওষুধ তৈরির গবেষণা চলছে৷
১৮৯০ সালে জার্মান ইমুনোলজিস্ট এমিল ফন বেরিং প্রথম ‘প্যাসিভ ইমিউনাইজেশন’ বিষয়টি উদ্ভাবন করেন৷ সেই সময় ডিপথেরিয়ার কারণে হাজার হাজার শিশুর মৃত্যু হচ্ছিল৷ ফন বেরিংয়ের আবিষ্কারের কারণে ডিপথেরিয়া ও টিটেনাসে শিশুমৃত্যু অনেক কমে গিয়েছিল৷ তাই ১৯০১ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রথম নোবেলটি দেয়া হয়েছিল তাঁকে৷ এছাড়া গণমাধ্যমে ফন বেরিংকে ‘শিশুদের ত্রাণকর্তা’ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছিল৷
শুধু তাই নয়, ফন বেরিংয়ের আবিষ্কার প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অনেক সেনারও প্রাণ বাঁচিয়েছে৷ তাই তাঁকে ‘সৈন্যদের ত্রাণকর্তা’ও বলা হয়েছিল৷
আফ্রিকায় ইবোলা মোকাবিলায়ও ফন বেরিংয়ের কৌশল কাজে লাগানো হয়েছে৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে