শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২১ অপরাহ্ন

প্রতিদিন সকালে কেন ডিম খাবেন?

এনবিডি নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৬৪ বার

প্রতিদিন অন্তত একটি ডিম খান না, এমন মানুষ খুব কমই আছে। কিন্তু কেন এই ডিম খাওয়া বা ডিম খেলে আসলে কি কি উপকার হচ্ছে শরীরে সেটা আমরা আসলেই জানি না। ডিমের পুষ্টির কথা আমরা কমবেশি সবাই ই জানি। তাই শরীরের এই উপকারগুলোর কথা জেনে প্রতিদিন নাস্তায় খেয়ে নিন অন্তত একটি ডিম-

কোলিনের ঘাটতি মেটে

গবেষণায় প্রমাণিত যে, প্রতিদিন ডিম খেলে শরীরে কোলিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যার প্রভাবে নার্ভের ক্ষমতা বাড়ে, পেশির ক্ষমতা বাড়ে এবং হজম ক্ষমতা উন্নতি ঘটে। তাই সার্বিকভাবে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে প্রতিদিন সকালের নাস্তায় একটা করে ডিম খেতে ভুলবেন না।

ক্যানসারকে প্রতিহত করতে পারে

ডিমের ভেতরে থাকা কোলিন শরীরে প্রবেশ করলে ক্যানসার সেল জন্মানোর আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। বিশেষত ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ সবচেয়ে বেশি কমে যায়। তাই প্রাকৃতিকভাবে এই মারণ রোগ থেকে দূরে থাকতে প্রতিদিন একটি করে ডিম খান সকালের নাস্তায়।

মস্তিস্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়

বুদ্ধির জোর বাড়ুক এটা সবাই চাই আমরা। আর বুদ্ধির জোর বাড়াতে সকালের নাস্তায় অবশ্যই রাখবেন অন্তত একটি ডিম। ডিমে থাকা বেশকিছু পুষ্টিকর উপাদান মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে বুদ্ধির বিকাশ ঘটে, স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগ শক্তি বৃদ্ধি পায়।

হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে

গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ডিম খেলে শরীরের উপকারি কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে হৃদপিণ্ডের কোনো ক্ষতি বা অসুখ হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। সেই সঙ্গে হার্টের রোগ বা হৃদপিণ্ডজনিত যেকোনো ইনফেকশন কমে যেতে থাকে। তাই পারিবারিকভাবে হার্টের অসুখের ইতিহাস থাকলে পরিমিত ডিম খাওয়ার অভ্যাস রাখুন। বিশেষ করে সকালের নাস্তায় একটি ডিম।

প্রোটিনের ঘাটতি দূর হয়

ডিমে থাকা অ্যালবুমিন নামক প্রোটিন পেশির গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই শরীরের শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যও সকালে ডিম খাওয়াটা জরুরি। যারা সকালে নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাদের জন্য অবশ্যই ডিম থাকতে হবে। এতে করে রোগবালাই বেশি আক্রমণ করতে পারবে না।

পুষ্টিকর উপাদানগুলোর ঘাটতি মেটে

প্রতিদিন একটা করে ডিম খেলে শরীরের প্রোটিন এবং ভিটামিনের চাহিদা মেটার পাশাপাশি ফসফরাস, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং জিঙ্কের ঘাটতিও দূর হয়। ফলে শরীরে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেলেনিয়াম উপাদানটি শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে বিশেষ সহায়ক। তাই সারাদিন ডিম খান না খান, সকালে একটা ডিম অবশ্যই খাবেন।

ক্ষুধা মেটায় দ্রুত

সকালে একটি বা দুটি ডিমের অমলেট বা পোচ খেলে দেখবেন অনেকক্ষণ পর্যন্ত কোনো ক্ষুধা লাগবে না। এমনকি দুপুরের আগ পর্যন্ত ক্ষুধা নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না। তাই যাদের নিয়মিত অফিস বা স্কুলে যেতে হয়, তারা দুটো সিদ্ধ ডিম খেয়ে বেরিয়ে পরুন। এতে করে ঘন ঘন ক্ষুধা লাগার ধেকে বাঁচবেন।

ওজন কমে

আমাদের সবারই ধারণা যে, ডিম খেলে বোধহয় ওজন বাড়ে। এটা ভুল ধারণা। ডিম খেলে ওজন বাড়ে না, বরং কমে। পেনিংটন বায়োমেডিকাল রিসার্চ সেন্টারের এক গবেষণায় প্রমাণিত যে, সকালে ডিম খেলে দিনের অনেকটা সময় পর্যন্ত ক্ষুধা পায় না। ফলে খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ক্যালরি জমার সম্ভাবনাও কমে। ফলে স্বাভাবিকবাবেই ওজন কমতে শুরু করে। তাই ওজন কমাতে নাস্তায় নিয়মিত ডিম খেতে শুরু করুন।

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে

ডিমে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, লুটিন এবং জিয়েক্সসেনথিন উপকারি উপাদান দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে চোখে ছানি পড়া বা বিভিন্ন ইনফেকশনের হাত থেকে আমাদের বাঁচায়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com