ডিম কমবেশি সবারই পছন্দের তালিকায় রয়েছে। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার হলো ডিম। কেউ সেদ্ধ খান, কারও পোচ পছন্দ, কেউ বা ডিমের অমলেট পছন্দ করেন। তবে একেকজনের ডিম খাওয়ার পদ্ধতি একেক রকম। অনেকে কাঁচা ডিমও খেয়ে থাকেন। ডিম খেলে বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়। যেমন-ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে, প্রোটিন এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি মেটে।
ডিম হচ্ছে প্রোটিনের সেরা উৎস। যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা মনে করেন ডিম ভাজার বদলে সিদ্ধই সেরা। পুষ্টিবিদরা অবশ্য সকালের নাশতায় একটা করে ডিম সিদ্ধ খাওয়ার কথা বলেন। চিকিৎসকদের মতে, অমলেট বা পোচের তুলনায় সিদ্ধ ডিমই বেশি উপকারী। তবে কোন পদ্ধতিতে ডিম খাওয়া উপকারী এ বিষয়ে আসুন জেনে নিই্
হাফ বয়েল, না ফুল বয়েল ডিম?
অনেকের মনে করে থাকেন হাফ বয়েল ডিমেই পুষ্টি। এটি একদমই ঠিক নয়। অর্ধসেদ্ধ ডিমে সালমোনেল্লা নামক একটি ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়া কিন্তু বমি, ডায়েরিয়ার মতো একাধিক সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই হাফ বয়েল ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো। ফুল বয়েল ডিম খাওয়াই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।
কাঁচা ডিমে শক্তি বেশি?
অনেকে আবার কাঁচা ডিম খান। তাদের ধারণা ডিম কাঁচা খেলে বেশি শক্তি! তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কাঁচা ডিমে থাকে এভিডিন নামক একটি প্রোটিন। এই প্রোটিন দেহে বায়োটিনকে কাজ করতে বাধা দেয়। এতে চুল ও ত্বকের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। তাই যতটা সম্ভব কাঁচা ডিম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
ভাজা ডিম খেলে কী হয়?
ডিম ভাজা ও পোচ করেও খেতে পারেন। এক্ষেত্রে কম তেলে ডিম ভেজে নিতে হবে। এমনকি এই উপায়ে পোচ বানাতে পারেন।
ডিমের কুসুম খাওয়া নিয়ে সমস্যা?
অনেকেই ডিমের কুসুমের ফ্যাট নিয়ে বেশি চিন্তিত থাকেন। এতে কোনো সমস্যা নয় বরং শরীরে ফ্যাটের চাহিদা পূর্ণ হয়। তবে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা খুব বেশি থাকলে ডিমের কুসুম না খাওয়াটাই উত্তম। এ সমস্যা না থাকলে যে কেউ ডিমের এই অংশ নির্দ্বিধায় খেতে পারেন।