শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা, সংঘর্ষ, নিহত, ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়া, গাড়ি ভাংচুর, গাড়ি পোড়ানোসহ নানা ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে বিএনপি’র ১ হাজার ৫৪৪ জন নেতাকর্মীকে। এছাড়া অজ্ঞাত হিসাবে আরও কয়েক হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বেশিরভাগ মামলা পুলিশ বাদী হয়েছে। কিছু মামলায় বাদী হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা। বিভিন্ন মামলার এজাহার পড়ে দেখা গেছে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের আসামি করা হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পুলিশ হত্যা মামলা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ ৪টি মামলায় আসামি করা হয়েছে। একইভাবে মির্জা আব্বাসকেও বিভিন্ন মামলায় আসামি করা হয়েছে।
৩৭টি মামলার মধ্যে ডিএমপির রমনা বিভাগের শাহবাগ থানায় ১টি, রমনায় ২টি। মতিঝিল বিভাগের পল্টন থানায় ৩টি, মতিঝিলে ১টি, শাহজাহানপুরে ৬টি, খিলগাঁওয়ে ১টি, রামপুরায় ১টি, মুগদায় ১টি। ওয়ারী ডিভিশনের ডেমরা থানায় ১টি, ওয়ারীতে ১টি, যাত্রাবাড়িতে ২টি।
গত ২১ অক্টোবর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ডিএমপির বিভিন্ন থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের একটি পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে। পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা গেছে ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে ডিএমপির ৮টি বিভাগ গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়েছে। এসব অভিযানে ১৪৮০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির বিভিন্ন থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ। এরমধ্যে রমনা বিভাগের থানা পুলিশ ও ডিবি গ্রেপ্তার করেছে ৯০ জন, লালবাগ ৩২১ জন, মতিঝিল ১২৭ জন, ওয়ারী ৩৫৬ জন, তেজগাঁও ১১৯ জন, মিরপুর ৩৫৩ জন, গুলশান ৮৯ ও উত্তরা ডিভিশন ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ২১ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির ৩১ জন, ২২ অক্টোবর ৪২ জন, ২৩ অক্টোবর ৪২ জন, ২৪ অক্টোবর ৮৫ জন, ২৫ অক্টোবর ১১১ জন, ২৬ অক্টোবর ২০২ জন, সমাবেশের আগের দিন ২৭ অক্টোবর ৩৪০ জন, ২৮ অক্টোবর ৬৯৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর ২৯ অক্টোবর সংঘর্ষের পরদিন ২৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সবমিলিয়ে ৯দিনে ১৭২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার সবাইকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠান।