অধিকৃত পশ্চিমতীরে যারা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিদ্যমান ভিসা এবং ভবিষ্যতের আবেদন বাতিল করবে যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিমতীরে সহিংসতা নিয়ে ইসরাইলকে কয়েক দফায় সতর্ক করার পর মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ভিসা নিষেধাজ্ঞার এই ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনি ব্লিঙ্কেন।
নতুন ভিসা নীতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে পশ্চিমতীরে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড উদ্বেগজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিমতীরে সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা শুরু করেছে। মূলত পশ্চিমতীরে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা ঠেকানোর জন্য ইসরায়েলের কাছে একাধিক আবেদন জানানোর পর সর্বশেষ এই পদক্ষেপ নেয়া হলো।
এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের আক্রমণ ও ইসরাইলিদের ওপর ফিলিস্তিনি আক্রমণসহ পশ্চিম তীরে স্থিতিশীলতা নষ্ট করে এমন যেকোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা বারবারই করেছে যুক্তরাষ্ট্র।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংস হামলাকারী উগ্রপন্থি বসতি স্থাপনকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে ইসরাইল সরকারকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছি। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বারবার বলেছেন, এ ধরনের আক্রমণ অগ্রহণযোগ্য। গত সপ্তাহেও ইসরাইল সফরকালে আমি স্পষ্ট করে বলেছি, যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব ক্ষমতা ব্যবহার করে এ ধরনের বিষয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।’
রয়টার্স বলছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তারা বারবার সতর্ক করে বলেছেন, পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা বন্ধ করতে ইসরাইলকে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে। ইহুদি বসতি সম্প্রসারিত হওয়ায় সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেখানে হামলা বেড়েছে এবং গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে এই সহিংসতা আরও বেড়েছে।
সূত্র : রয়টার্স ও অন্যান্য