রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে স্ত্রী-সন্তান পুড়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় জাতির কাছে বিচার চাইলেন মিজানুর রহমান মিজান।
আজ শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘আমরাই বাংলাদেশ’ ব্যানারে আয়োজিত প্রতিবাদী পদযাত্রায় অংশ নিয়ে জাতির কাছে বিচার চান স্ত্রী-সন্তান হারানো মিজান।
কেঁদে কেঁদে মিজান বলেন, ‘আমি জাতির কাছে বিচার দিতে এসেছি। যারা আমার স্ত্রী-সন্তানকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে, তাদের যেন দৃষ্টান্তমূলক বিচার হয়। আমি স্ত্রী-সন্তান হারিয়েছি। আমাকে লাশ বহন করে নিয়ে যেতে হয়েছে। যারা আগুনে মানুষ পোড়াচ্ছে, তাদের বিচার চাই।’
তিনি বলেন, ‘যে সন্তানকে সুন্দর করে বাড়ি পাঠিয়েছিলাম। তাকে আর কোলে নিতে পারি নাই। লাশ কোলে নিয়ে বাড়িতে যেতে হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি বিচার দাবি করি। আমি একজন সাধারণ মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ। স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সুন্দরমতো জীবনযাপন করছিলাম। আমার জীবনকে এলোমেলো করে দিয়েছে। তার জন্য যারা দায়ী, তাদের বিচার করবেন। আমার স্ত্রী-সন্তানের কী দোষ ছিল? প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই দাবি, এই অপরাধীদের যেন বিচার হয়। আর কোনো দাবি নেই।’
মিজান আরও বলেন, ‘নিজের সন্তান হারালে কী কষ্ট হয়, সেই হুঁশটুকু নিজের ভেতরে তৈরি করুন। তাহলে বুঝতে পারবেন, সন্তান পুড়লে কী কষ্ট হয়। যার হারায় সে বুঝতে পারে। চোখের সামনে আমার স্ত্রী-সন্তান পুড়ে গেছে, আমার যে কী অবস্থা, আমি বুঝতেছি। আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আমার স্ত্রী-সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’
উল্লেখ্য, গত ১৯ ডিসেম্বর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সেই আগুনে মারা যায় নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) ও তার ছেলে ইয়াসিন। ঘটনার সময় মায়ের কোলেই ছিল ৩ বছরের ইয়াসিন। বগিতে আগুন লাগলে সন্তানকে বুকে আগলে রেখেছিলেন মা নাদিরা আক্তার, মরদেহ উদ্ধারের সময়ও ছেলে তার কোলেই ছিল।