জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে আত্মস্বীকৃত খুনী ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ফাঁসি আজ শুক্রবার কার্যকর করা হবে না। কারা কতৃপক্ষ প্রস্তুত থাকলেও নির্দেশ পায়নি বলে জানা গেছে। তাই ফাঁসি কার্যকরের কোনো সম্ভাবনা নেই।
কারা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বা রোববার রাতেই ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে।
এদিকে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত মাজেদের সাথে কথা বলেন স্বজনরা। এ সময় স্ত্রী সালেহা, স্ত্রীর বোন ও বোন জামাই, ভাতিজা ও একজন চাচাশশুরসহ মোট পাঁচ জন ছিলেন।
জানা গেছে, ফাঁসির কার্যকরের জন্য বাধ্যতামূলক যেসব কর্মকর্তাদের থাকতে হয় এমন কর্মকর্তাদেরকে চিঠি দেয়নি কারা কতৃপক্ষ।
দোষ স্বীকার করে তার প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি বাতিল করে দেওয়ায় ফাঁসির আদেশ কার্যকরে আর কোনো বাধা রইলো না। বুধবার রাতেই রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো তার প্রাণভিক্ষার আবেদনটি নাকচ করা হয়।
কারা সূত্র জানায়, প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি বাতিল করে দেওয়ার পর সেই চিঠিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে পৌঁছে। কারাবিধি অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম চলবে। বৃহস্পতিবার শবে-বরাত ও শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় এই দুই দিন ফাঁসি কার্যকর করা হয়নি। শনিবার কোন কারণে ফাঁসি কার্যকর করা না গেলে রোববারের মধ্যেই মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
জানা গেছে, কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এখন পর্যন্ত কোনো ফাঁসি কার্যকর হয়নি। তবে ফাঁসিরমঞ্চ প্রস্তুত করা আছে। সম্প্রতি নতুন করে ধোয়ামোছা করা হয়েছে। এতে যেকোনো সময় ফাঁসি কার্যকর করা যাবে।
আবদুল মাজেদকে গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর আলোচিত এই হত্যাকারী ২৩ বছর ধরে কলকাতায় অবস্থান করছিলেন। তিনি গত ১৬ মার্চ ঢাকায় ফিরেছেন।
মাজেদ গ্রেফতার হওয়ার পর এখন বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী। তারা সবাই সাবেক সেনা কর্মকর্তা।